জাতীয়
সম্মেলনের আলোচনার শীর্ষে কাদের
এ ছাড়া গতকাল আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির কার্যালয়ে দলের সিনিয়র নেতারাও তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সারা দেশে কাউন্সিলরদেরও এমন বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তবে কেবল সাধারণ সম্পাদকই নয়, আরও গুরুত্বপূর্ণ পদেও আসছে পরিবর্তন। সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তনের আভাসের মাধ্যমে এমন বার্তা বলে মনে করেন দলের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের নেতারা।
বুধবার রাতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করার সবুজ সংকেত পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতা-কর্মীদের মধ্যে শুরু হয়েছে উল্লাস। আগেভাগেই মিষ্টি বিতরণও হয় নিজেদের মধ্যে। তবে ওবায়দুল কাদের এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে কিছু জানাননি। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জানান, ওবায়দুল কাদের মাঠের রাজনীতিক। তিনি সারা দেশের নেতা-কর্মীদের কাছে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য নেতা। একজন নেতা বলেন, ওবায়দুল কাদের কর্মীবান্ধব। তিনি মাঠের কর্মীদের খোঁজখবর নেন। তাদের বিপদে আপদে ছুটে যান।
গতকাল ধানমন্ডির কার্যালয় ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনস্থলে ওবায়দুল কাদেরকে ঘিরে নেতা-কর্মীদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। সকাল ৯টার আগেই ধানমন্ডির কার্যালয়ে আসেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে সম্মেলন বিষয়ে আলাপ-আলোচনায় ব্যস্ত ছিলেন তিনি। জেলা নেতাসহ বিভিন্ন জায়গায় কয়েক দফা ফোনেও কথা বলেন। বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি নেতা-কর্মীদের নিয়ে বের হয়ে যান দলীয় কার্যালয়ের পাশেই প্রিয়াঙ্কা কমিউনিটি সেন্টারে। সেখানে পরিদর্শন করেন কাউন্সিলরদের কার্ড ও গেঞ্জি বিতরণের স্থান। এ সময় দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়। ওবায়দুল কাদেরও ছিলেন বেশ ফুরফুরে মেজাজে।
সূত্র জানায়, তৃণমূলে সংগঠন শক্তিশালী করতে না পারা, ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাচনে বিতর্কিতদের অনৈতিক সুবিধা নিয়ে মনোনয়নসহ বিভিন্ন অভিযোগের কারণে শেখ হাসিনা এদের বাদ দিয়ে কার্যনির্বাহী সংসদে পরিবর্তন আনার কথা ভাবছেন। হাইব্রিড, বিতর্কিত, জামায়াতকে দলে ভেড়ানো নেতা, পদপদবি বিক্রি করে টাকার কুমির হয়েছেন, নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারকারী— এমন নেতাদের কেন্দ্রীয় কমিটিতে দেখতে চান না তৃণমূলের কর্মীরা। তারা চান ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন। নতুন কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে গুরুত্ব দেওয়াসহ যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তোলার জন্যই বিতর্কিত ও অদক্ষদের বাদ দেওয়া হচ্ছে।