Connect with us

জাতীয়

সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন ওবায়দুল কাদের

Published

on

o-kসব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন ওবায়দুল কাদের। রবিবার ঢাকা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়।

কাউন্সিল শুরুর আগে থেকেই সাধারণ সম্পাদক কে হচ্ছেন এ নিয়ে চলছিলো জোর আলোচনা। সামনে চলে এসেছে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ছাত্রলীগের এক সময়ের সভাপতি এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নাম। যদিও কয়েকদিন ধরে আলোচনায় ছিলেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ড. আব্দুর রাজ্জাক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকের নাম। তবে এখন এদের মধ্যে দু’জনের নামই আলোচনা হচ্ছে সর্বত্র। এরা হলেন সৈয়দ আশরাফ ও ওবায়দুল কাদের।

দলের সভাপতি পদে গত ৩৫ বছরের মতো এবারও অপ্রতিদ্বন্দ্বী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তাকে ছাড়া অন্য কাউকে সভাপতি মানবেন না বলে ইতোমধ্যে দলের জাতীয় কমিটি ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি সদস্যরা ঐক্যবদ্ধভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। তবে কে হচ্ছেন এবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, এ নিয়ে দলের ভেতরে-বাইরে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে অনেকটা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তার আভাসও দেন। ওই অনুষ্ঠানে সাধারণ সম্পাদকসহ দলের অন্য কোনও পদে প্রার্থী হবেন না জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা সবাই নেত্রীর ওপর আস্থাশীল। আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন যখন হয় আমি মাঝে-মাঝে বিব্রত হই, লজ্জাও পাই। মনে অনেক প্রশ্নও জাগে। সম্মেলনকে সামনে রেখে আলাপ-আলোচনা আসে, পত্রিকায় ছবি বের হয়। আমি আপনাদের পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমি আওয়ামী লীগের কোনও পদে প্রার্থী নই।’

ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের পর দলের ভেতরে-বাইরে সবাই ধরেই নিয়েছিলেন, পদে আসার সম্ভাবনা নেই মনে করেই তিনি কোনও প্রসঙ্গ ছাড়াই ওই মন্তব্যটি করেন।

গত বুধবার দুপুর থেকেই এ পরিস্থিতি নতুন মোড় নিয়েছে বলে আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওইদিন দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের আগে ওবায়দুল কাদেরকে গণভবনে ডেকে পাঠান। সেখানে প্রধানমন্ত্রী তাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করার প্রস্তুতি নিতে বলেন বলে ওবায়দুল কাদের তার ঘনিষ্ঠ একাধিক নেতার কাছে দাবি করেছেন। বৃহস্পতি ও শুক্রবার ওবায়দুল কাদেরকেও ফুরফুরে মেজাজে দেখা গেছে। তার অনুসারীদের মধ্যেও বেশ উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ওবায়দুল কাদেরের কার্যক্রমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমপ্রতি বেশ খুশি বলে জানা গেছে। বিশেষ করে পদ্মা সেতু নির্মাণ কার্যক্রম তদারকি ও বিভিন্ন স্থানে তার আকস্মিক ভিজিটের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।বিডিপত্র/আমিরুল

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *