Connect with us

জাতীয়

‘সিএনজি খাতে লোকসান ৩০০ কোটি টাকা’

Published

on

স্টাফ রিপোর্টার:
হরতাল-অবরোধের কারণে সিএনজি (কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস) খাতে প্রায় ৩শ’ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভার্শন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এ দাবি করা হয়। অ্যাসোসিয়েশের নেতারা বর্তমান অস্থির পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত কাল বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে ‘অস্থির রাজনৈতিক অবস্থার অবসান চাই’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সিএনজি অ্যাসোসিয়েশন। এসময় সংগঠনটির আহ্বায়ক মাসুদ খান, যুগ্ম আহ্বায়ক নজিব আহমেদ, আখতার হোসেন ফয়সাল, সদস্য নজরুল ইসলাম, ফারহান নুর, আলমগীর খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সিএনজি ব্যবসায়ীরা জানান, গত এক মাসের অবরোধের কারণে সিএনজি বিক্রি প্রায় ৮০ শতাংশ কমে গেছে। এতে প্রতিদিন তাদের প্রায় ১০ কোটি টাকা করে লোকসান হচ্ছে। সংগঠনের আহ্বায়ক মাসুদ খান বলেন, “বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সিএনজি ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এই অবস্থা অনির্দিষ্টকালের জন্য চলতে পারে না।” আলোচনার মাধ্যমে ব্যবসার স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “অর্থনীতি না থাকলে দেশ থাকবে না, আর দেশ না থাকলে রাজনীতি থাকবে না।”
সংবাদ সম্মেলনে গ্যাসের দাম না বাড়ানোর দাবি জানানো হয়। বলা হয়, গ্যাসের দাম বাড়লে পরিবহন খরচসহ যাবতীয় খরচ বাড়বে। মোট গ্যাসের মাত্র ৫ শতাংশ সিএনজি ব্যবহৃত হয়। ব্যবহার কম হলেও সরকারকে সর্বোচ্চ রাজস্ব দেয় এই খাত। এমনিতেই এই সিএনজি খাত লোকসান দিচ্ছে। দাম বাড়ালে এই খাতে লোকসান আরো বাড়বে। সংবাদ সম্মেলনে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ৪ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো- ব্যাংক ঋণের সুদ মওকুফ, গ্যাসের খেলাপি বিলের সুদ বাতিল করা ও কিস্তিতে বিল পরিশোধের সুযোগ দেয়া, সিএনজি স্টেশনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেয়া এবং আলোচনার মাধ্যমে অস্থির পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *