Connect with us

আন্তর্জাতিক

সমুদ্রে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রাণ গেল ১৪ শিক্ষার্থীর

Published

on

selfe

অনলাইন ডেস্ক: কলেজের পিকনিকে গিয়ে সমুদ্রে ঢেউয়ের মাঝে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলতে গিয়ে এমন অভি়জ্ঞতা হবে, দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি তারা। সোমবার ভারতের পুণে কলেজ থেকে মহারাষ্ট্রের মুরুদ সৈকতে পিকনিক গিয়ে ছিল ১১ জন শিক্ষকসহ ১১৬ শিক্ষার্থী।

সমুদ্রে সাঁতার কাটতে নেমে জোয়ারের টানে তলিয়ে যান অনেকে। এখন পর্যন্ত ১৪ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। উপস্থিত শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় কয়েক জনের চেষ্টায় উদ্ধার করা গিয়েছে ছয় জন শিক্ষার্থীকে।

নিহতদের মধ্যে চার জন ছেলে এবং দুই জন মেয়ে। চোখেমুখে আতঙ্ক স্পষ্ট তাদের। এক ছাত্রী মতে বললেন, ‘ভগবান করুন সব বন্ধুরা যেন বেঁচে যায়। পিকনিকটা এত খারাপ হবে ভাবিনি। সারা জীবন এই ঘটনা ভুলতে পারব না। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন।’

sfকী হয়েছিল সে দিন? জানেত চাইেল প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষার্থী জানান, ‘কম্পিউটার সায়েন্সের (বিএসসি) প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা মিলে সমুদ্রতটে যায়। পরে বেশ কয়েকটা গ্রুপ সমুদ্রে নেমে হুটোপাটি করতে শুরু করল। কিছু সময় পর দুপুরের খাওয়ার ডাক প়ড়ল। অনেকেই বাসের কাছে চলে গেল টিফিন বাক্স নিয়ে আসতে। আবার অনেকে তখনও সমুদ্র থেকে উঠে আসতে চাইছিল না।

বন্ধুদের সঙ্গে সেলফি তুলতেও ব্যস্ত ছিল অনেকে। হঠাৎ বড় বড় ঢেউ উঠতে শুরু করল। তেমনই একটা বড় ঢেউ বেশ কয়েক জনকে টেনে নিয়ে গেল সমুদ্রের ভিতরে। আচমকা।

আপ্রাণ হাত-পা ছুড়ছিল ওরা। কলেজের অন্য যারা কাছাকাছি ছিল তারা ওদের বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়ল। জনা ছয়েককে টেনে তটে আনা গেলেও বাকিরা তত ক্ষণে তলিয়ে গিয়েছে।

যাদের উদ্ধার করা হল তাদের ঘোড়ার গাড়ি, হাতে টানা গাড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় কোনো মতে।
কলেজটির সহ-অধ্যক্ষ শৈলজা বুটওয়ালা বলেন, ‘আমরা শোকহত। ঘটনাস্থলে ৩০ জন কর্মী এবং ১০টি অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানো হয়েছে। উদ্ধারের কাজ চলছে।’

তবে কলেজের সভাপতি দাবি করেছেন, সমুদ্রতটে যথেষ্ট সংখ্যায় লাইফগার্ড থাকলে এই দুর্ঘটনা ঘটত না। তবে শিক্ষণ হক্কা মঞ্চ দুর্ঘটনার দায় স্বীকার করে ওই কলেজের প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারপার্সন এবং অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করেছেন।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *