Connect with us

কুড়িগ্রাম

হলহলি নদীদ্বারা বিচ্ছিন্ন চর অঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রদের শিক্ষা ব্যবস্থা ও জীবন

Published

on

 

News Rowmari  09-05-2015

রৌমারী (কুড়িগ্রাম)  প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রাম জেলাধীন রৌমারী উপজেলার ৬ নং চর শৌলমারী ইউনিয়নের কাজাইকাটা স্কুল এন্ড কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ২১১জন শ্রেণী কক্ষ ৪ টি প্রয়োজনীয় শ্রেণী কক্ষ না থাকায় ৯ম ও ১০ম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রদের পাঠদান হয় খোলা আকাশের নিচে। সরে জমিনে জানা যায় কুড়িগ্রাম জেলাধীন রৌমারী উপজেলা থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার উত্তরে হলহলি নদীদ্বারা বিচ্ছিন্ন চর অঞ্চল  ৬ নং চর শৌলমারী ইউনিয়নের প্রাণ কেন্দ্র শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত বিচ্ছিন চর জনপদে  শিক্ষিত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পাঠদানরত ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দ্যোগে ০১-০১-২০১২ ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। গণপ্রজান্ত্রী বাংলাদেশ সরকার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং- নি¤œ মাধ্যমিক,৩৭.০০.৪০.০৭২.৩৩.১০২.১২-৫১১ তারিখঃ ৩০-০৯-২০১৩ ইং, মাধ্যমিক স্মারক নং-৩৭.০০.৪০.০৭২.৩৩.০১৫.১৪-৪৭৭ তারিখঃ ০৯-১২-২০১৪ইং, উচ্চ মাধ্যমিক স্মারক নং-৩৭.০০.৪০.০৭২.৩৩.০৩০.১৪-৩৬১ তারিখঃ ২৮-০৯-২০১৪ সালে পাঠদানের প্রাথমিক অনুমোতি পেয়ে কাজাইকাটা স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। হলহলি নদীদ্বারা বিচ্ছিন্ন চর অঞ্চলের মেয়েদের  সর্বউচ্চ ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশনা শেষ করে মেয়েদের বিবাহ দিত অভিভাকরা। শিক্ষা আলো থেকে বঞ্চিত বিশেষ করে মেয়েরা শিক্ষিত হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। কাজাইকাটা স্কুল এন্ড কলেজের আওতায় প্রায় ২০ হাজার লোক বসবাস করে। ৯টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, এনজিও পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৭টি মোট ২৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে । প্রতি বছর গড়ে ৫ম শ্রেণী সমাপনী পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয় প্রায় ৩০০জন ছাত্র-ছাত্রী। কিন্তু কাজাইকাটা স্কুল এন্ড কলেজ প্রয়োজনী ক্লাসরুম,ছাত্র-ছাত্রীদের বসার বেঞ্চ, টিউবওয়েল ও টয়লেট না থাকায় শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া ছাত্র-ছাত্রীদের খেলার মাঠে গর্ত থাকায় খেলাধুলা করতে পারছে ছাত্র-ছাত্রীরা। বর্তমান কাজাইকাটা স্কুল এন্ড কলেজের ১০ম পযর্ন্ত ক্লাস চালু আছে। মোট ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ২১১ জন। ৬ষ্ঠ শ্রেণী ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ৯৯ জন, ৭ম শ্রেণী ছাত্র-ছাত্রী সংখ্য ৫৭ জন, ৮ম শ্রেণী ছাত্র-ছাত্রী সংখ্য ২৩ জন ও  ৯ম ও ১০ম শ্রেণী ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ৩২ জন,ছাত্র-ছাত্রী সংখ্য সর্বমোট ২১১জন ছাত্র-ছাত্রী। কিন্তু কাজাইকাটা স্কুল এন্ড কলেজ টিনসেট একটি ৮০ ফুট ঘরে ৪টি রুম এর মধ্যে ১টি শিক্ষকদের মিলনায়তন,৩টি শ্রেণী কক্ষ। শ্রেণী কক্ষের ভিতরে ৬ষ্ঠ,৭ম ও ৮ম শ্রেণীর পাঠদান করান আর বাকী শ্রেণী কক্ষ না থাকায় ৯ম ও ১০ম শ্রেণীর পাঠদান হয় খোলা আকাশের নিচে। কাজাইকাটা স্কুল এন্ড কলেজটি পাঠদান অনুমোতি না পাওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেন চর অঞ্চলবাসী। কাজাইকাটা স্কুল এন্ড কলেজটি পরিচালনার জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন চর অঞ্চলের জনগণ।

এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল হান্নান বলেন, কাজাইকাটা স্কুল এন্ড কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় চর অঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষার সুযোগ পাবে। প্রতিষ্ঠানটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *