জাতীয়
৫৭ ধারা চ্যালেঞ্জ করে শিক্ষকদের রিট
তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১জন শিক্ষক ও সমাজকর্মীদের পক্ষে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া রবিবার এই রিট আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, সংবিধানে মত প্রকাশের যে স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে, ৫৭ ধারাটি তার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এর আগে জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আইনসচিব ও তথ্যপ্রযুক্তি সচিবকে আইনটি বাতিলে লিগ্যাল নোটিশ দেয়। কিন্তু এর জবাব না পাওয়ায় হাইকোর্টে রিট করা হয়।
এদিকে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় শাস্তি হিসেবে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদণ্ড ও ১ কোটি টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। অথচ একই অভিযোগে পর্নোগ্রাফি আইনে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানার কথা বলা হয়েছে। এটি সরাসরি বৈষম্য। আইনের এ ধারাটি সংবিধানের ২৭, ৩১, ৩২ এবং ৩৯ ধারার পরিপন্থি।
আইসিটি আইনের ৫৭ (১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানি প্রদান করা হয়, তাহা ইহলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ’।
(২) ‘কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন অপরাধ করিলে তিনি অনধিক চৌদ্দ বছর এবং অন্যূন সাত বৎসর কারাদণ্ডে এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন’।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর