দেশজুড়ে
রংপুরে পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ৮
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পীরগাছা থেকে ছেড়ে আসা রংপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাস মহিগঞ্জ কলেজের সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তারা মারা যান। এসময় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের একটি চাতালে ঢুকে পড়েলে সেখানে অবস্থানরত সানু মিয়া নামের এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়। তাৎক্ষণিক তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান। এ ঘটনার প্রতিবাদে উত্তেজিত এলাকাবাসী বাসটি ভাঙচুর করে সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মাহিগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আফাজুল ইসলাম দুর্ঘটনায় নিহতের কথা নিশ্চিত করে জানান, দুর্ঘটনার পর এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়েছিল। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বাসটি আটক করা হলেও চালক পালিয়ে গেছে। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে সোমবার সন্ধ্যা সোয়া পাঁচটার দিকে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের পাগলাপীর ও শলেয়াশাহ বাজারের মধ্যবর্তী ঠাকুরপাড়া এলাকায় রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের পিকাপ ভ্যানের ধাক্কায় শিশুসহ অটোরিকশার পাঁচ যাত্রী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত আরো তিনজন জেলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহতরা হলো, আনার কলি (৫), আইরিন আক্তার (২৫), সবুর উদ্দিন (৬৫), আলীম উদ্দিন (৫০) ও ধনজয় (৫০)। নিহতদের বাড়ি রংপুর সদরের লালচাঁদপুর বড়বাড়ি গ্রামে। ঘটনার পরে উত্তেজিত জনতা পুলিশ ভ্যানটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বালাবাড়ী হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক (এসআই) মহিদুল ইসলাম জানান, কারা পুলিশের একটি গাড়ি সৈয়দপুর থেকে রংপুর আসছিলো। পথে গাড়িটি রংপুর-দিনজপুর মহাসড়কের পাগলাপীরের ঠাকুরপাড়ায় বিপরীত দিক থেকে আসা রিকশাভ্যানকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে একটি শিশুসহ তিনজন নিহত হন। গুরুতর আহত পাঁচজনকে জেলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন।