Connect with us

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করলে যাবজ্জীবন

Published

on

ministerঅনলাইন ডেস্ক: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ইলেকট্রনিক মাধ্যমে অবমাননা করলে সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে যাবজ্জীবনের বিধান রেখে নতুন একটি খসড়া আইনের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীসভা। আজ সেমাবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রীসভার বৈঠকে এ খসড়া আইনের অনুমোদন দেওয়া হয়। নতুন এ খসড়া আইনটির নাম হচ্ছে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৬’।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সাংবাদিকদের জানান, এ খসড়া আইনটি এখন আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর সেখান থেকে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মতির পর সেটি আবারও মন্ত্রীসভায় ফিরে আসবে। মন্ত্রীসভায় এই আইনের চূড়ান্ত অনুমোদনের পর সেটিকে সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হবে। সংসদীয় কমিটির যাচাই বাছাইয়ের পর সেটি সংসদে তোলা হবে।
সুতরাং এই আইনে আরও সংযোজন ও বিয়োজনের সুযোগ থেকে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এই আইনের ১৫ নং ধারায় ৫ এর উপ-ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে জাতির পিতার বিরুদ্ধে যেকোন প্রকার প্রপাগান্ডা, প্রচারণা বা তাহাতে মদদ প্রদান করে; তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি, সত্ত্বা বা বিদেশী নাগরিক ডিজিটাল সন্ত্রাসী কার্যসংঘটনের অপরাধ করিয়াছে বলিয়া গণ্য হবে।
এই একই ধারায় আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা আদালত কর্তৃক মীমাংসিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বিষয়াবলীর বিরুদ্ধে ইলেকট্রনিক মাধ্যমে কোন প্রপাগান্ডা বা প্রচারণা করে তাহলে সেটিও অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।
এ ধরনের অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং সর্বনিম্ন তিন বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক কোটি টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। এ ধরনের অপরাধকে ‘ডিজিটাল বা সাইবার সন্ত্রাসী কাজ’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
এই আইনটির উদ্যোক্তা বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশে অনলাইনে অপরাধ তৎপরতা বেড়ে যাবার কারণে এ ধরনের আইনের প্রয়োজনীয়তা তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশে এরই মধ্যে ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন’ নামে আলাদা আরেকটি আইন রয়েছে। এই আইনের ৫৭ ধারা নিয়ে তীব্র বিতর্ক রয়েছে। এই ৫৭ ধারাকে অনেকে ‘নিপীড়নমূলক আইন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এই বিতর্কের প্রেক্ষাপটে নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া মন্ত্রীসভায় অনুমোদন করা হলো। নতুন এ আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, অনলাইনে কী করা যাবে আর কী করা যাবে না।
এই খসড়া আইনের ১৭নং ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি ‘অসৎ উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে’ বা জ্ঞাতসারে অন্য কোন ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া তার ব্যক্তিগত ছবি তোলে এবং প্রকাশ করে কিংবা বিকৃত করে, তাহলে সেটি ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে। এ ধরনের অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ বছর এবং দশ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
এছাড়া কোনো ব্যক্তি যদি স্বেচ্ছায় কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার উদ্দেশ্যে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোন ইলেকট্রনিক মাধ্যমে এমন কিছু প্রকাশ করে তাহলে সেটিও অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
নতুন এই আইনের অধীনে মামলা হলে অভিযোগ গঠনের তারিখে হতে ৬ মাসের মধ্যে বিচার কাজ শেষ করার বিধান রাখা হয়েছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *