জাতীয়
আজ থেকে কর্মবিরতি পালন করবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা
গতকাল রোববার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামালের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষকদের দাবির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্র“তি পূরণ ও অসঙ্গতি দূর করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় আমরা কর্মবিরতিতে যাচ্ছি।
তবে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ ও তাদের শিক্ষাজীবন রক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করে কর্মসূচি চলাকালে শুধু সেমিস্টার ফাইনাল ও কোর্স ফাইনাল পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতি।
জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যায় শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আআমস আরেফিন সিদ্দিকের বৈঠক হয়েছে। শিক্ষকদের কর্মসূচির ফলে শিক্ষার্থীরা যাতে কোনো ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন না হন, সে ব্যাপারে তিনি শিক্ষক নেতাদের পরামর্শ দিয়েছেন।
শিক্ষক ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, শিক্ষক ধর্মঘটের ভবিষ্যৎ কি হবে জানি না। তবে, আমরা এ ধর্মঘট চাইনি। দীর্ঘ আট মাস ধরে আমাদের দাবির কথা সরকারের বিভিন্ন মহলে জানিয়েছি। অপেক্ষা করেছি। কিন্তু কোথাও ইতিবাচক সাড়া পাইনি। আমাদের দাবির ব্যাপারে বিন্দুমাত্র মনোযোগ দেয়নি সংশ্লিষ্টরা। শেষে নিরুপায় হয়ে আমরা এ আন্দোলনের ডাক দিয়েছি বলে মন্তব্য করেন।
উলেখ্য, অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে শিক্ষকদের মর্যাদা ‘অবনমনের’ প্রতিবাদ ও স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন এবং সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল বহাল রাখাসহ চার দফা দাবিতে গত আট মাস ধরে আন্দোলন করে আসছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। শুরুতে মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি, বক্তব্য-বিবৃতি ও নির্দিষ্ট সময় ধরে কর্মবিরতি পালন করেন তারা। সরকারের কোনো মহল তাদের সঙ্গে আলোচনা না করায় ২০১৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেন দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।