Connect with us

দেশজুড়ে

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার বিষপানে চতুদর্শীর মৃত্যু

Published

on

নরসিংদী

নরশিংদী সংবাদদাতা: জানা গেছে, রায়পুরা উপজেলার আদিয়াবাদ ইউনিয়নের আদিয়াবাদ উত্তরপাড়ার জামান মিয়ার কন্যা নাদিরা। এ চতুদর্শীর উপর আদিয়াবাদ দক্ষিণ পাড়ার নওশের মেম্বারের বখাটে পুত্র রায়হান মিয়ার নজর পড়লে নাদিরার পরিবার তা জানতে পেরে মান সম্মান রক্ষার্থে গত রমজান মাসে একই উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের করিমগঞ্জ গ্রামের আবু কালামের পুত্র সহিদের সাথে নাদিরার বিয়ে দেয়। বিয়ের ৩ দিন পরে নাদিরা তার স্বামীর বাড়ী থেকে পিতার বাড়ীতে আসে।
কিন্তু এর ৬ দিন পরই রায়হান তার সহযোগী একই গ্রামের আবুলের পুত্র ইমন ও শামীমের পুত্র শ্যামলের সহযোগিতায় ও সুকৌশলে নাদিরাকে নিয়ে পালিয়ে যায। তারপর ঢাকায় ইমনের নানীর বাড়ীতে উঠে। নাদিরার নিয়ে যাওয়া নগদ ১৪,০০০/- হাজার টাকা প্রায় দেড় ভরি স্বর্ণের অলংকার বিক্রি করার টাকা শেষ হওয়ার পর নাদিরা তার বাড়িতে ফোন এবং ঢাকা থেকে নিয়ে যেতে বলে। কারণ তার কাছে ভাড়ার টাকা নেই বলে জানায়।
ফোন পেয়ে নাদিরার অভিভাবকরা তাকে সহ রায়হানকে বাড়িতে নিয়ে আসেনজরদারী রাখা স্বত্ত্বেও গত ১৭ই আগষ্ট বুধবার গভীর রাতে নাদিরাকে নিয়ে রায়হান পালিয়ে তাদের বাড়ীতে চলে যায়।
কিন্তু গত ২০ই আগষ্ট শনিবার দুপুরে নাদিরার পরিবার জানতে পারে নাদিরা বিষ পান করেছে। এ সংবাদ পেয়ে নাদিরার পরিবারে তাকে পার্শ্ববর্তী রাধাগঞ্জ বাজারের পল্লী চিকিৎসক ইসমাইলের কাছে নিয়ে যায়। তিনি নাদিরাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। নাদিরার পরিবার এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক ভাবে রায়পুরা থানায় জিডি করেন। পুলিশ মৃত দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদী সদর থানার মর্গে প্রেরণ করে।
নাদিরার পরিবারের অভিযোগ নাদিরা সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল। সে কোন আত্মহত্যা করবে? তাকে পরিবারিক ভাবে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। রায়হানের পিতা স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং স্থানীয় এম.পি আস্থাভাজন বিধায় প্রভাব খাটিয়ে এই হত্যা ঘটনাকে আপোষরফা করে ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ দিকে নিহতের পরিবার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায় বিচারের জন্য মামলা দায়েরর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *