Connect with us

গাইবান্ধা

গাইবান্ধায় বাঁশজাত কুটির শিল্প বিলুপ্ত প্রায়

Published

on

Gaibandha PHOTO-01গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার বাঁশজাত কুটির শিল্প এখন বিলুপ্তপ্রায়। ফলে এ শিল্পকর্মে নিয়োজিত প্রায় সাড়ে ৫ হাজার পেশাদার কারিগর এখন চরম দুর্ভোগের শিকার। জীবন জীবিকার প্রয়োজনে তারা তাদের পৈত্রিক পেশাও ছাড়তে পারছে না, আবার এ পেশা আঁকড়ে ধরে খেয়ে পরে বেঁচে থাকাও দুস্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাঁশজাত শিল্পকর্মের মধ্যে ডালি, কুলা, চালুন, ঝাঁপি, দোলনাসহ নানা নকশি শো-পিস ক্রেতাদের কাছে জনপ্রিয়। তারপরও বাঁশের তৈরী চাটাই, নকশি করা ঘরের ছাদ, ঝাটা শলাসহ গৃহস্থালী কাজে ব্যবহার্য জিনিসের এখনও যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। কিন্তু পরিবেশগত ভারসাম্যহীনতায় এবং অবাধ বৃক্ষনিধনের মাধ্যমে বনাঞ্চল উজাড় হয়ে যাওয়ায় জেলায় ব্যাপক হারে বাঁশঝাড়ও বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
এছাড়া তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদী তীরবর্তী এলাকায় ইতোপূর্বে প্রচুর বাঁশ বন থাকলেও অব্যাহত নদী ভাঙনে বাঁশঝাড়ের সবচাইতে বেশি ক্ষতি হয়েছে। ফলে বাঁশ প্রধান এ অঞ্চলে এখন বাঁশের সংকট। সে জন্য বাঁশজাত শিল্পকর্মের জন্য প্রয়োজনীয় বাঁশের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে উৎপাদন ব্যয় বহুলাংশে বাড়লেও আনুপাতিক হারে বিক্রয় মুল্য বাড়েনি। কারণ বাঁশজাত কুটিরশিল্পে নিয়োজিত হত দরিদ্র ভাঙন কবলিত ছিন্নমুল মানুষ জীবন জীবিকার তাগিদে নারী পুরুষ উভয়েই শ্রমে নিয়োজিত হতে বাধ্য হচ্ছেন।
সেজন্য জেলার বাঁশজাত কুটির শিল্পে নিয়োজিত দরিদ্র পাটনী পরিবারগুলোকে সহজ শর্তে জামানতবিহীন ঋণ সহায়তা প্রদান করা হলে এই কুটির শিল্প যেমন বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা পেত। তেমনি বাঁশজাত শিল্পর কারিগররা পৈত্রিক পেশাকে উপজীব্য করে জীবন জীবিকা চালিয়ে নিতে সক্ষম হতো।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *