দেশজুড়ে
মৃত নারী জেগে ক্ষমা চাইলেন স্বামীর কাছে !
দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেছিলেন রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌর এলাকার মাদারপুর মহল্লার গৃহবধু পারুল বেগমকে। শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে উচ্চ রক্তচাপজনিত কারণে হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়লে তাকে গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা হাসপাতালে নেয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. শর্মিলা শর্মা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এরপর পারুল বেগমকে বাসায় নেন তার স্বজনরা। চারদিকে পড়ে যায় কান্নার রোল। আত্মীয়-স্বজনরাও জেনে যান তার মৃত্যু সংবাদ। চলছিলো দাফনের প্রস্তুতিও। তবে সবাইকে অবাক করে নড়েচড়ে উঠেন পারুল বেগম। বিষয়টি টের পেয়ে চারদিক ঘিরে ধরেন তার স্বজনরা। একপর্যায়ে স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন পারুল। এরপর তিনি তার স্বামী আব্দুল বারির হাত ধরে ক্ষমাও চান। এরপর তড়িঘড়ি করে গোদাগাড়ী দমকল কর্মীদের সহায়তায় অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়া হচ্ছিলো। এসময় পথেই মারা যান তিনি।
ওই গৃহবধুর স্বামী আব্দুল বারি অভিযোগ করেন, গোদাগাড়ী হাসপাতালে তার স্ত্রীকে চিকিৎসা দেয়া হয়নি। ওই সময় চিকিৎসা পেলে তিনি হয়তো বেঁচে যেতেন। এসময় ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ আনেন আব্দুল বারি। এ ঘটনায় চিকিৎসকের শাস্তিও চান তিনি।
গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. শারমিন জাহান মাওলা এ বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি জানান, হাসপাতালের রেজিস্টারে পারুল বেগমকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল বলে উল্লেখ রয়েছে। আর সেখানে স্বাক্ষর করেছেন ওই সময়কার কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শর্মিলা শর্মা।
পরে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ডা. শর্মিলা শর্মার সংযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি জানা নেই উল্লেখ করে অভিযোগ পেলে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. আবদুস সোবহান।