গাজীপুরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বাড্ডার যুবলীগ নেতা নিহত
গাজীপুরে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সাইদুর রহমান (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে সদর উপজেলার দক্ষিণ সালনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবার দাবি করেছে, সাইদুর গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বেড়াবাড়ি এলাকার জইবতুল্লাহর ছেলে এবং বাড্ডা এলাকার বাসিন্দা। তিনি বাড্ডার ৯৭ ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। দুদিন আগে রাতে তাকে আটক করে গোয়েন্দারা। তবে ডিবির দাবি, সাইদুর রহমান রাজধানী ঢাকার বাড্ডা এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী এবং পেশাদার খুনি।
গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আমির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সাইদুর ঢাকা বাড্ডা এলাকার তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। গাজীপুরে এক আইনজীবী হত্যা মামলার আসামি তিনি। এছাড়া সাইদুরের বিরুদ্ধে বাড্ডাসহ ঢাকার বিভিন্ন থানায় আরো ৩টি হত্যা মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তারের পর তার দেওয়া তথ্যে অন্য সহযোগীদের ধরতে ও অস্ত্র উদ্ধারে গাজীপুরের দক্ষিণ সলনার হাজীর পুকুরপাড়ে ডিবি অভিযানে যায়। উপস্থিতি টের পেয়ে সাইদুর রহমানের সহযোগীরা ডিবিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।
ডিবিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় সাইদুর পালানোর চেষ্টা করলে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যায়। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
ওসি আমির হোসেনের দাবি, এই বন্দুকযুদ্ধে ডিবির দুই সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পরে ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকটি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তবে ডিবির দাবি অস্বীকার করে নিহতের ভাই সাজেদুর রহমান বলেন, ‘আমার ভাই সাইদুর রহমান উত্তর বাড্ডার ৯৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। বুধবার রাতে বাড্ডা থেকে তাকে আটক করে ডিবি পুলিশ।’
তিনি বলেন, ‘ভোরে খবর পেয়ে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে গিয়ে আমারা তার লাশ সনাক্ত করি। তাকে ডিবি হত্যা করেছে।’
সাজেদুর জানান, ভাইয়ের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গুলিবিদ্ধ সাইদুর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা গেছেন।