গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো প্রসঙ্গ, হত্যা মামলার জন্য প্রস্তুত থাকুন -খালেদাকে ইনু
স্টাফ রিপোর্টার:
গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানোর ঘটনায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে দায়ী করে তাকে হত্যা মামলা ও গ্রেপ্তারের জন্য প্রস্তুত থাকতে বললেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। গত কাল তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‘চলমান রাজনীতি’ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ইনু বলেন, “শাজাহানপুরে পাইপে পড়ে জিহাদের মৃত্যুর জন্য ঠিকাদারের বিরুদ্ধে যদি হত্যা মামলা হয়, তাহলে তিন বছরে বাংলাদেশে জঙ্গি তাণ্ডবের দায়-দায়িত্ব কার? খালেদা জিয়া কি উসকানিদাতা নয়? সুতরাং একই পরিবারের তিনজন অগ্নিদগ্ধ হওয়া ঘটনার উসকানিদাতা হিসাবে খালেদা জিয়াও হত্যা মামলার সম্মুখীন হবেন। উনি হত্যা মামলার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করুন।”
গত ২৮ ডিসেম্বর বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের ডাকা হরতালের আগে রাজধানীর কাজীপাড়ায় একটি অটোরিকশায় দেওয়া আগুনে এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হন। খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হবে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “হতে পারেন, যদি হত্যা মামলা হয়।” খালেদার বিরুদ্ধে মামলার পরিকল্পনা আছে কি না- এমন প্রশ্নে ইনু বলেন, “সরকার কোনো পরিকল্পনা করে না। কেউ অপরাধ করলে সরকার পদক্ষেপ নেয়। অপরাধের ভিত্তিতে যে কেউ গ্রেপ্তার হতে পারে।”
জাসদ সভাপতি ইনু জানান, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খতিয়ে দেখছে, প্রশাসন বিষয়টি পরীক্ষা করছে। নির্বাচনের বর্ষপূর্তি ঘিরে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে উত্তেজনার মধ্যে গত ৩ জানুয়ারি থেকে নিজের গুলশানের কার্যালয়ে পুলিশের ঘেরাওয়ে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া। এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “খালেদা জিয়া অবরুদ্ধ নন, তাকে উসকানি দেওয়া থেকে বিরত রাখা হয়েছে। কোনো উসকানিদাতাকে আমরা ছাড় দেব না। শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের অধিকার বিএনপিসহ সবাইকেই দেওয়া হয়েছে।”
একুশে টিভির বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী সংবাদিকদের বলেন, “একুশে টিভির সম্প্রচার বন্ধ করা হয়নি। এ ব্যাপারে আমাদের কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত নেই। এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো নির্দেশ প্রদান করা হয়নি।” পাড়া-মহল্লায় একুশে টিভি দেখা না যাওয়ার পেছনে সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ইনু বলেন, “এটা শুনেছি, আমরা খতিয়ে দেখতে পারি। এখন পর্যন্ত একুশে টিভি কর্তৃপক্ষ আমাদের কোনো হস্তক্ষেপ কামনা করেনি।”