পাকুন্দিয়ায় দারোগার কাছ থেকে ৮৬০ পিস ইয়াবা উদ্ধার
মোঃ এখলাছ উদ্দিন (রিয়াদ), কিশোরগঞ্জ :
কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়ার আহুতিয়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মতিউর রহমানের কাছ থেকে তছরুপ হওয়া ৮৬০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। আজ ভোরে এক ইয়াবা ব্যবসায়ীকে ইয়াবাসহ আটকের পর উদ্ধারকৃত ইয়াবার একটি বড় অংশ তছরুপ করার চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি এসআই মতিউর।
২৪০ পিস ইয়াবাসহ থানায় পাঠানো হলেও আটক ইয়াবা ব্যবসায়ী তার কাছে ১৪৫০ পিস ইয়াবা ছিল এমন তথ্য ওসিকে জানালে জব্দ করা ইয়াবা তছরুপের বিষয়টি ধরা পড়ে। এ নিয়ে পাকুন্দিয়ার পুলিশ প্রশাসনে তোলপাড় চলছে। পুলিশ ও সংশি¬ষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, পাকুন্দিয়ার পুলেরঘাট বাসস্ট্যান্ড থেকে আজ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ১৪৫০ পিস ইয়াবাসহ এক ইয়াবা ব্যবসায়ীকে আটক করেন আহুতিয়া তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মতিউর রহমান। আমিন মিয়া (৩৫) নামের ওই ইয়াবা ব্যবসায়ী টেকনাফের জালিয়াপাড়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের পুত্র।
পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর তার ঠাঁই হয় আহুতিয়া তদন্তকেন্দ্রের হাজতখানায়। সেখানে বসেই ২ লাখ টাকায় রফা হয় এসআই মতিউরের সঙ্গে। এদিকে তদন্তকেন্দ্রে ইয়াবা উদ্ধারের বিষয়টি সোর্স মারফত জানতে পারেন পাকুন্দিয়া থানার ওসি হাসান আল মামুন। বিকাল ৪টার দিকে ওসি (তদন্ত) শামছুদ্দিনকে তিনি পাঠান তদন্তকেন্দ্রে। তিনি সেখানে গিয়ে তদন্তকেন্দ্রের হাজতে ইয়াবা ব্যবসায়ী আমিন মিয়াকে পেলে ভেস্তে যায় দারোগার রফা উদ্যোগ। অগত্যা ১৪৫০ পিস ইয়াবার বদলে ২৪০ পিস ইয়াবা উদ্ধার দেখিয়ে আটক ইয়াবা ব্যবসায়ীকে পাঠানো হয় পাকুন্দিয়া থানায়।
সেখানে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াবা ব্যবসায়ী আমিন জানায়, তার কাছে ১৪৫০ পিস ইয়াবা ছিল, সেগুলো এসআই মতিউর জব্দ করেছেন। ওসি হাসান আল মামুন ইয়াবা জব্দের গড়মিলের বিষয়টি এসআই মতিউরের নজরে আনলে তিনি ১১০০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে বলে জানান। পাকুন্দিয়া থানার ওসি হাসান আল মামুন বলেন, ইয়াবা উদ্ধারের বিষয়ে এএসআই নকুল চন্দ্র ধর বাদী হয়ে ১১০০ পিস ইয়াবা জব্দ দেখিয়ে থানায় মামলা করেছেন। ইয়াবা জব্দের গড়মিলের বিষয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে কোন কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে এসআই মতিউর রহমান বিষয়টি সঠিক নয় বলে দাবি করেন।