বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ
কামাল হোসেন, বেনাপোল: ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে সরকারি ছুটি থাকায় মঙ্গলবার বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দু‘দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে।তবে চেকপোস্ট দিয়ে দু‘দেশের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক নিয়মে চলছিল। প্রজাতন্ত্র দিবসে অবৈধ অনুপ্রবেশ,জঙ্গী হামলা এবং নাশকতামূলক কর্মকান্ডের আশংকায় দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত জুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ঘিরে রেছেছিল ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। জঙ্গি হামলার ভয়ে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের আগেই ভারত সরকার সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে থাকে।
ওপারের বিভিন্ন সূত্রে এবং বাংলাদেশ বিজিবি ও গোয়েন্দা সুত্রে জানা গেছে,দক্ষিণের সাতক্ষীরা থেকে শুরু করে পশ্চিমে কুষ্টিয়া পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে।একই সাথে পশ্চিমবঙ্গসহ বাংলাদেশ সীমান্তের সংলগ্ন রাজ্যগুলোর সড়ক ও রেলপথসহ বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্টগুলোতে অতিরিক্ত সৈন্য ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছিল। কলকাতাসহ আশেপাশের হোটেল ও আবাসিক এলাকাগুলোতেও চলছে কড়া নজরদারি।
কিছু কিছু সীমান্তে ২ দিন আগেই সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত ভারতীয় নাগরিকদের সীমান্ত এলাকায় যেতে নিষেধ করা হয়েছে।সীমান্ত থেকে ভারতের অভ্যন্তরগামী সকল সড়কে সন্দেহভাজনদের তল্লাশি করা হয়। সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার কোন ক্রটি হয়েছে কিনা অথবা অবহেলা করা হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য সীমান্ত গোয়েন্দার নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছিল।
ভারতের সীমান্তবর্তী গ্রামবাসীদের সন্ধ্যার পর বিনা কারনে সীমান্ত এলাকায় ঘোরাফেরা না করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে বিএসএফ।অনেক স্থানে বিএসএফ পর্যবেক্ষণ টাওয়ার থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বাংলাদেশীদের গতিবিধির ওপর কড়া নজরদারি করছে।নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ভারত সীমান্ত এলাকায় জোরদার করা হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। বিএসএফের নজরদারির কারনে বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জোয়ানদেরকেও রাখা হয়েছে সতর্কাবস্থায়।
এ ব্যাপারে ২৬ বিজিবি চেকপোস্ট ক্যাম্পের সুবেদার আব্দুল হামিদ জানান, অবৈধভাবে যাতে কেউ সীমান্ত পারাপার হতে না পারে সে জন্য বিজিবি‘র সার্বক্ষনিক নজরদারি অব্যাহত আছে।