Connecting You with the Truth

বেনাপোল দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি কম, বাজারের আগুন

download (1)কামাল হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি : কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এক লাফে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে তিনগুণ। কিছুদিন আগে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ২২ থেকে ২৮ টাকা। এখন স্থানীয় বাজারে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা দরে দেশি- বিদেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। ভারতের বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় বেনাপোল দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি কমে গেছে। আগেও প্রতিদিন ২৫০০ থেকে ৩৫০০ বস্তা পেঁয়াজ আমদানি হতো ভারত থেকে। বেনাপোল স্থল বন্দর হয়ে সেই পেঁয়াজের চালান যেত দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে। দাম ছিল নাগালের মধ্যে। অথচ গত ছয় দিনের মধ্যে বুধবার বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে দুটি ট্রাকে ৫০০ বস্তা পেঁয়াজ। বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার বন্ধের পর রোববার বিকেল পর্যন্ত পেঁয়াজের চালান আসেনি বন্দরে। এমনটাই জানান বন্দর সংশ্লিষ্টরা।

বৃষ্টিতে পেঁয়াজ নষ্ট ও ভারতের বাজারের পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায়- এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন। টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে নষ্ট হয় পেঁয়াজ ও মরিচ। স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে ভারত থেকে মরিচ ও পেঁয়াজ আমদানি একেবারেই কম। গত চার দিনে মরিচ ও পেঁয়াজ আমদানি হয়নি।

বেনাপোল সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন বলেন, গত সপ্তাহ থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ এসেছে কম। বুধবার দুই ট্রাক পেঁয়াজ আসলেও রোববার দুপুর পর্যন্ত পেঁয়াজ আসেনি।নাভারণ বাজারের ক্রেতা তরু আলী জানান, মরিচ ও পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৮০ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। ৫০০ গ্রাম মরিচ ও পেঁয়াজ কিনতে এসে ১০০ গ্রাম করে কিনে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ ও ভারত চেম্বার অব কমার্সের উপ-কমিটির সভাপতি মতিয়ার রহমান বলেন, বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে দুদেশের মরিচ ও পেঁয়াজ। ভারতের বাজারে বেড়ে গেছে মরিচ ও পেঁয়াজের দাম।বেনাপোল আমদানি রফতানিকারক সমিতির যুগ্ন সম্পাদক মহাসিন মিলন বলেন, আমদানি কমে যাওয়ায় বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। উৎপাদন ও আমদানি বাড়লে দাম কমবে।

বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর

Comments
Loading...