মাদার তেরেসা আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হলেন ডা. গাজী মিজান
মো: মেজবাউল ইসলাম: ডা. গাজী মিজানুর রহমান সমাজে নানাবিধ সেবামূলক কর্মকান্ডের জন্য বিশ্বদরবারে আবারো পুরস্কৃত হলেন। এবারে যুক্ত হলো মাদার তেরেসা ইন্টারন্যাশনাল এ্যাওয়ার্ড। শিক্ষাবিস্তারে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। স্বাস্থ্য শিক্ষায় অবদানের জন্য ইতোপূর্বে ২০১৫ সালে ইউরোপ বিজনেস এসেম্বলী কর্তৃক সক্রেটিস এ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হন। তার প্রতিষ্ঠান গাজী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালকে ইউরোপ বিজনেস এসেম্বলী বেষ্ট মেডিকেল কলেজ এবং তাকে ম্যানেজার অব দ্য ইয়ার হিসাবে নির্বাচিত করে।
শিক্ষা বিস্তারে তার অবদানকে বিবেচনা করে গত ৩০শে জানুয়ারি ২০১৬ কলকাতার ইষ্টার্ন জোনাল কালচারাল সেন্টারে এমটিএম কমিটির চেয়ারম্যান এ্যান্থনি অরুন বিশ্বাস, কোলকাতার মান্যবর আর্চ বিশপ এবং রেভা: থমাস ডি’সুজা এক আড়ম্বরপূর্ন অনুষ্ঠানে তার হাতে মাদার তেরেসা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন।
মাদার তেরেসা পুরস্কারের বারটি ক্যাটাগরির মধ্যে বাংলাদেশ হতে এ বছর ডা. গাজী মিজানুর রহমান শিক্ষায়, জনাব এজিএম নাসির উদ্দিন, মেয়র-চট্রগ্রাম সিটি কর্পোরেশন রাজনীতিতে, আজাদুল কবির আরজু, প্রধান-জাগরনী চক্র ফাউন্ডেশন, সামাজিক কর্মকান্ডে পুরষ্কার পান। ইতোপূর্বে বিশ্ববরেন্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, আমেরিকার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিনটন, পশ্চিম বাংলার মূখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত রাজীব গান্ধী, বিখ্যাত গায়ক ভূপেন হাজারিকা, বাংলাদেশ সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী দীপু মনি সহ আরো অনেকে এ পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন ।
প্রতিবেদকের সাথে একান্ত সাক্ষাতে তিনি অনুভুতি জানাতে গিয়ে বলেন, শিক্ষা প্রসারে কাজ করা প্রকারান্তরে শান্তির জন্যেই কাজ করা। আমাদের সমাজের বিত্তবানরা যদি এভাবে সমাজের সমস্যা গুলোকে চিহ্নিত করে এগিয়ে আসেন তবে আমাদের দেশ সঠিক শিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে বিশ্বের দরবারে মাথা উচু করে দাড়াতে পারবে।
উল্ল্যেখ্য যে তিনি সমাজে কর্মমূখী শিক্ষা বিস্তারে ব্যাপক ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। চিকিৎসাখাতে পর্যাপ্ত জনবল তৈরীর লক্ষ্যে তিনি গাজী মেডিকেল কলেজ ও জি.এম.আর নার্সিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাছাড়া, শিশুদের জন্য প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় ‘আলোর দিশারী নার্সারী স্কুল’ প্রতিষ্ঠা করেন । যেখানে প্রায় ৭০ জন শিশু বিনামূল্যে প্রাথমিক জ্ঞান লাভের সুযোগ পাচ্ছে । তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ধলইতলা মাদ্রাসা এবং ডাঃ গাজী মিজানুর রহমান স্পোর্টস বেজড মাধ্যমিক বিদ্যালয় (প্রক্রিয়াধীন) এর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। তিনি ডাঃ গাজী মিজানুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খুলনার প্রধান পৃষ্ঠপোষক ।
পুরষ্কার গ্রহনের প্রতিক্রিয়ায় ডা. গাজী মিজানুর রহমান বলেন আমৃত্যু তিনি দক্ষিনবঙ্গ তথা এতদাঞ্চলের মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চান। ।।
বিডিপি/এমএম