মিশরে জঙ্গি হামলায় নিহত ২৬
মিশরের উত্তরাঞ্চলীয় সিনাই উপত্যকায় সন্দেহভাজন ইসলামি জঙ্গিদের হামলায় অন্ততপক্ষে ২৬ জন নিহত হয়েছেন। বিবিসি বলছে, উত্তর সিনাইয়ের রাজধানী এল আরিশে সেনাবাহিনীর অবস্থান লক্ষ করে গাড়িবোমা ও মর্টার হামলা চালানো হয়। গাজার সীমান্তবর্তী রাফা ও শেখ জুওয়াইদে অন্য হামলাগুলো চালানো হয়েছে। মিশরের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন জানিয়েছে, নিহতদের বেশির ভাগই নিরাপত্তাকর্মী। সুন্নি জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে স¤পৃক্ত গোষ্ঠী আনসার বেইত আল-মাকদিস এই ধারাবাহিক হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে। ২০১৩ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুরসি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর জঙ্গি হামলার ঘটনা বেড়েছে। ২০১১ সালে গণআন্দোলনের মুখে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বাধ্য হয়েছিলেন হোসনি মুবারক। চলতি সপ্তাহেই সেই আন্দোলনের বর্ষপূর্তি উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। আর এতে দেশটিতে উত্তেজনা বাড়ছে। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাড়িবোমাটি রাখা ছিল আল আরিশের একটি সেনাবাহিনীর ঘাঁটির বাইরে। আর সেনাবাহিনীর একটি হোটেল, পুলিশের একটি ক্লাব ও একাধিক তল্লাশি চৌকি লক্ষ করে মর্টার হামলা চালানো হয়েছে। দেশটির সংবাদপত্র আল আহরাম দাবি করেছে, হামলায় সেনাবাহিনীর ওই ঘাঁটি এবং পুলিশের হোটেলটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। অপরদিকে নিরাপত্তা বাহিনী নিশ্চিত করেছে, রাফার তল্লাশি চৌকিতে মর্টার হামলায় দেশটির সেনাবাহিনীর একজন মেজর মারা গেছেন। ধারাবাহিক এসব হামলায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। ২০১৪ সালের অক্টোবর থেকে উত্তর সিনাইয়ে জরুরি অবস্থা ও কারফিউ জারি রয়েছে। মিশরের সেনাবাহিনী বেশ কয়েকটি বড় ধরনের অভিযান চালিয়েছে ওই এলাকাগুলোতে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেনারা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হয়েছে।