মুক্তিপণের দাবিতে সহপাঠীকে খুন
নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরে নিখোঁজের ৬ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে তানভীর নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে র্যাব।মঙ্গলবার সকালে শহরের আলাইপুর এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গতকাল রাতে তিন জনকে আটক করা হয়েছে।
র্যাব-৫ ও স্থানীয়রা জানান, শহরের হাফরাস্তা বড়গাছা এলাকার ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম তুষারের একমাত্র ছেলে মো. তানভীর আলাইপুর এলাকার আশরাফুল উলুম কওমী মাদরাসায় পড়ালেখা করতো। গত ২৫ আগস্ট বিকেলে মাদরাসা থেকে বের হয়ে সহপাঠীদের সাথে খেলতে গিয়ে সে নিখোঁজ হয়। রাতে মোবাইল ফোনে নিখোঁজ ছাত্রের বাবা সাইফুল ইসলাম তুষারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করা হয়। এ ব্যাপারে নিখোঁজ ছাত্রের বাবা নাটোর থানায় জিডি করেন ও র্যাব-৫ কে জানিয়ে ছেলের খোঁজে গত কয়েকদিন ধরে শহরে মাইকিং করেন। পরে মোবাইল ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে র্যাব ঐ মাদরাসার দুই ছাত্র বায়েজিদ হাসান (১৪) ও হুমাইদ হোসেন (১৫) এবং ওই মাদরাসার সাবেক ছাত্র নাঈমকে (১৫) আটক করে।
আটক বায়েজিদ হাসান বাগাতিপাড়া উপজেলার নওপাড়া গ্রামের বাবুল হাসানের ছেলে, হুমাইদ হোসেন সিংড়া উপজেলার জোর মল্লিকা গ্রামের মোক্তার হোসেনের ছেলে এবং মো. নাঈম নাটোর শহরের কালুর মোড় এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে। ওই তিনজনের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আলাইপুর এলাকার আশরাফুল উলুম কওমী মাদরাসার পেছনের একটি সেপটি ট্যাংক থেকে তানভীরের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
ভারতীয় টিভি চ্যানেলের সিরিয়ালে অপহরন করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনা দেখে নাটোরের তিন কিশোর সহপাঠীকে অপহরণ করে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ চাঞ্চ্যল্য সৃষ্টি হয়েছে নাটোরে। এই অভিযানের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুনসি শাহাবুদ্দিন, র্যাব-৫ এর এএসপি জামাল আল নাছের, নাটোর সদর সার্কেলের এএসপি রফিকুল ইসলাম এবং সদর থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর