Connecting You with the Truth

রাগ দূর করার ঘর

rage-roomরাগকে জয় করতে পারলেই কাক্ষিত লক্ষ্যে পৌছানো যায়। কথাটি শুনতে সহজ মনে হলেও, রাগ জয় করা কি সহজ ব্যাপার? রাগ হওয়া তো জীবের ধর্ম। বাড়ি, রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে অফিস-রাগ হওয়ার মতো বিষয়ের তো অভাব নেই। কিছু জায়গায় আবার প্রচণ্ড রাগ হলেও তা প্রকাশ করা যায় না। তবে আপনি চাইলে কিছু পয়সা খরচ করে আজব ক্রোধ ঘরে ঢুকে যত ইচ্ছে রাগ দেখাতে পারেন। জিনিসপত্র ভাঙচুর করতে পারেন। একেবারে নির্দ্বিধায়।

হ্যাঁ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গাঁটের কড়ি খসালে এমনই ঘর মেলে। এই ঘরে ঢুকে আপনার যাবতীয় জমা রাগ উগরে দিতে পারেন জিনিপত্র ভাঙচুর করে। আপনার হাতে ধরিয়ে দেওয়া হবে একটি বেসবল স্টিক। সেই স্টিক দিয়ে সাজানো ঘরে তুমুল ভাঙচুর চালাতে পারেন। তাতে যদি রাগ কমে। মাথায় জমে থাকা নেগেটিভ এনার্জিও বেরিয়ে যাবে। আসলে বাড়িতে, অফিসে বা ট্রেন-বাসে তো আর রাগের মাথায় ভাঙচুর চালানো যায় না। সে আরেক বিপত্তি। তাই দেশটির টেক্সাসে নানা জায়গায় ব্যবস্থা করা হয়েছে ক্রোধ ঘরের।

টেক্সাসে একটি ক্রোধ ঘরের ভাড়া ২০ ডলার। ছোট বাড়ির মতো তৈরি। ঢুকেই দেখতে পাবেন, একেবারে সাজানো, গোছানো কয়েকটি ঘর। টেবিল, চেয়ার, কাঁচের আসবাব, কাপ, ডিস, ওয়ালম্যাট, টিভি, ফ্রিজসহ সব কিছুই আছে সেই ঘরে। তবে শুধু টেক্সাসেই নয়, রাগ কমানোর ঘর রমরমিয়ে চলছে সাইবেরিয়াতেও। সেখানে বহু বেকার যুবক ৬ ডলারের বিনিময়ে ক্রোধ ঘর ভাড়া দিয়ে রোজগার করছেন।

এরকমভাবে রাগ কি আদৌ কমে? মনোবিদরা বলছেন, সাময়িক স্বস্তি পাওয়া গেলেও রাগ কমানোর এটা বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি নয়। এক্ষেত্রে যোগাসনের শরীরচর্চাই বেশি কাজে দেয়।

বাংলাদেশেরপত্র/ এডি/আর

Comments
Loading...