রাজতন্ত্র বিরোধী নাটকে অভিনয় করায় জেল
থাইল্যান্ডের এক আদালত রোববার এক নারী ও পুরুষকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। রাজতন্ত্র বিরোধী এক নাটকে অভিনয় করার দায়ে তাদের এ শাস্তি দেয়া হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা বিবিসি জানিয়েছে। থাই রাজাকে অসম্মান করার অভিযোগে রোববার পাতিওয়াত সারাইয়ায়েম(২৩) এবং পর্নথিপ মুনকং(২৬) নামের দুই শিক্ষার্খীকে আড়াই বছরের জেল দেয়া হয়েছে। কঠোর লেস ম্যজিস্ট্রেট আইনের আওতায় তাদের এ শাস্তি দেয়া হয়েছে। থাইল্যান্ডের এই রাজতান্ত্রিক আইনটি বেশ কঠোর। এ আইনে সর্বোচ্চ ১৫ বছর অব্দি জেল হওয়ার বিধান রয়েছে। তবে নিজেদের দোষ স্বীকার করে নেয়ায় ওই দুই নারী-পুরুষের সাজা কম করে ধরা হয়েছে। তবে সমালোচকরা মনে করছেন, দেশটির সামরিক সরকার ভিন্ন মতালম্বীদের দমন করতে এ আইনের যথেচ্ছা ব্যবহার করছে। রোববার অভিযুক্ত দুজনকে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। একজনের পায়ে আবার ডান্ডাবেড়ী পরানো ছিল। রাজতন্ত্র বিরোধী ওই নাটকের পরিচালক ছিলেন সাজাপ্রাপ্ত পর্নথিপ মুনকংয়ের মা। রোববার আদালতে মেয়েকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। ২০১৩ সালের অক্টোবরে গণতন্ত্রপন্থী ছাত্র আন্দোলনের ৪০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে খোন ব্যাংককের থামাসাত বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই নাটকটি মঞ্চস্থ হয়েছিল। ‘উলফ ব্রাইড’ নামের ওই নাটকে এক কল্পিত রাজ্যের কথা তুলে ধরা হয়েছিল, যেখানকার রাজা এবং তার উপদেষ্টা উদ্ভট সব কর্মকাণ্ড করে বেড়ায়। ওই নাটকের গুরুত্বপূর্ণ দুই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী পাতিওয়াত সারাইয়ায়েম(২৩) এবং পর্নথিপ মুনকং। তবে এ ঘটনার প্রায় এক বছর পর অর্থাৎ ২০১৪ সালের ১৪ আগস্ট তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। থাইল্যান্ডে গত বছরের মে মাসে সামরিক শক্তি ক্ষমতা দখলের পর দেশটিতে রাজতন্ত্রের অবমাননার ঘটনায় গ্রেপ্তারের সংখ্যা বেড়ে গেছে। লেস ম্যাজিস্ট্রেট মামলার আওতায় ইতিমধ্যে ১৫ ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে এ রকম আরো ৯০টি মামলা ।