সুন্দরগঞ্জে অবৈধভাবে তিস্তা নদীর বালু উত্তোলন; হুমকির মুখে বেড়িবাঁধ
বাপ্পী রায়, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) সংবাদদাতা: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার নদীর তীর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় সম্ভাব্য হুমকির মুখে পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ।
জানা গেছে, কালের চক্রে তিস্তা নদী নাব্যতা হারিয়ে ফেলায় অসংখ্য বালু চর জেগে উঠে। এ সুযোগ বুঝে এক শ্রেণির অসাধু বালু ব্যবসায়ী ট্রাক্টর ও ট্রলি যোগে বেড়িবাঁধ ঘেষে লাখ লাখ ঘন ফুট বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন। এতে করে প্রকৃতি যেমন ভারসাম্য হারাচ্ছে তেমনি করে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধটি হুমকির মুখে পড়েছে। বর্ষা আসতে না আসতেই বেড়িবাঁধটি ধ্বসে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসি। এনিয়ে তিস্তা পাড়ে বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহেদ, ফজলার রহমান, আশরাফুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান খোরর্শেদ আলমসহ অনেকে জানান, যেভাবে বালু খেকোরা বালু তুলে নিয়ে যাচ্ছেন তাতে করে আগামী বর্ষা মৌসুমে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধটি রক্ষা করা যাবে না। বর্ষা মৌসুম শুরু হলে এখনকার মরা তিস্তা ফিরে পাবে তার নব যৌবন। এর উত্তাল মাতনে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে পানি লোকালয়ে ঢুকে বসতবাড়িসহ হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল বিনষ্ট করাসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করবে এতে কোন সন্দেহ নেই। তারা যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট ড্রেজিং করে নাব্যতা ফিরে এনে মরা তিস্তার নদীর গতি পথ বদলানোসহ বালু খেকোদের হাত থেকে বেড়িবাঁধটি রক্ষার জোড়দাবী জানান। এব্যাপারে ইউএনও আবদুল হাই মিলটনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শিঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে। উল্লেখ্য, তিস্তা নদীর পাড় থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলণ করার অপরাধে ইউএনও ভ্রাম্যমান আদালতে জনৈক বালু ব্যবসায়ীর এক লাখ টাকা জরিমানা করলেও থেমে নেই অবৈধ বালু উত্তোলন।