Connect with us

জাতীয়

অনলাইনভিত্তিক পত্রিকাগুলোর নজরদারি ও রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনা হবে

Published

on

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ পর্যবেক্ষণের জন্য ‘মিডিয়া মনিটরিং সেন্টার’ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বুধবার বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বেগম পিনু খানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানান, অনলাইনভিত্তিক পত্রিকাসমূহের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নজরদারির জন্য অনলাইন গণমাধ্যম সহায়ক নীতিমালা শীর্ষক একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে। ওই নীতিমালার আওতায় অনলাইনভিত্তিক পত্রিকাসমূহকে রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি এর একটি ডাটাবেইজ তৈরি করা হবে।

তথ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকারের সময়ে সংবাদপত্র ও ইলেক্টনিক মিডিয়া অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করছে। তবে অবাধ স্বাধীনতা ভোগের সুযোগে অনেক মিডিয়া/অনলাইন পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং কিছু ব্লগ ধর্মকে ব্যবহার করে সাম্প্রদায়িকতার পক্ষে লেখালেখি করছে। তিনি আরো জানান, আমাদের মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ ধর্ম নিরপেক্ষ বিশ্বাসী এক অসাম্প্রদায়িক দেশ। এখানে সকলেই স্বাধীনতা ভোগ করে দেশ গঠনে কাজ করছে।

একই প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক গণমাধ্যম বা ব্লগে কারো কারো লেখালেখিতে ধর্মপ্রাণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি ও বিশ্বাস আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এই ধরনের লেখালেখি শুধু দায়িত্বহীন বা উস্কানিমূলক নয়, আইন বিরোধীও বটে। এই ধরনের লেখালেখিতে সাময়িক উত্তেজনা বা অশান্তি তৈরি হলেও সরকারের বলিষ্ঠ পদক্ষেপে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট বা আস্তিক-নাস্তিক বিভেদ সৃষ্টির মতো পরিস্থিতির উদ্ভব হয় নাই। তিনি আরো জানান, সরকার সকল নাগরিকের ধর্মীয় অনুভূতি বা বিশ্বাসে আঘাত বা কোন ধরনের অশান্তি সৃষ্টির ষড়যন্ত্র বা উস্কানির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা উল্লেখ করে ইনু জানান, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের বিভিন্ন ধর্মীয়মূলক অনুষ্ঠানে দেশের প্রখ্যাত আলেম ও মাশায়েখদের উপস্থিতিতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষাসহ সকল ধর্মীয় উস্কানির বিরুদ্ধে সজাগ থাকার জন্য বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা ২০১৪ অনুসরণে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমসমূহেও এই ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মো. নুরুল ইসলাম ওমরের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানান, বর্তমানে মিডিয়াভুক্ত পত্রিকার সংখ্যা ৫২৮। এর মধ্যে ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয় ২৪৫টি এবং মফস্বল থেকে প্রকাশিত হয় ২৮৩টি। অধিকাংশ পত্রিকাই ৮ম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করছে বলেও তিনি সংসদকে জানান।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *