Connect with us

জাতীয়

আগামী মাসের শুরু থেকেই কার্যকর হবে নিরাপদ খাদ্য আইন

Published

on

safe foodস্টাফ রিপোর্টার:
আগামী ১ ফেব্র“য়ারি থেকে নিরাপদ খাদ্য আইন কার্যকর করছে সরকার, যাতে খাদ্যে ভেজালের জন্য পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম গত কাল সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা এবং ‘বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত’ গঠন করা হবে। নিরাপদ খাদ্য আইন কার্যকর হলে ‘পিউর ফুড অর্ডিনেন্স-১৯৫৯’ রহিত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “তবে ওই অধ্যাদেশের অধীনেই অনিষ্পন্ন কার্যক্রম, দায়েরকৃত মামলা ও তার আপিল চলবে।”
খাদ্যে ভেজাল ও ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য মেশানোর দায়ে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড এবং ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রেখে ২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদে ‘নিরাপদ খাদ্য বিল-২০১৩’ পাস হয়। এই আইন বাস্তবায়নে গত ২৩ নভেম্বর মন্ত্রণালয়কে তিন মাস সময় বেঁধে দেয় হাই কোর্ট।
কামরুল ইসলাম বলেন, আগের অধ্যাদেশে কোনো ব্যক্তি অনিরাপদ খাদ্য উৎপাদক, প্রক্রিয়াকারী বা বিক্রেতার বিরুদ্ধে সরাসরি মামলা করতে পারতেন না। বর্তমান বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে সরাসরি মামলা করা যাবে। বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত গঠনের জন্য ইতোমধ্যে আইন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, হাই কোর্টের অনুমোদন নিয়ে আগের ‘পিউর কোর্ট’কে ‘বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে’ রূাপান্তর করা হবে। “নিরাপদ খাদ্য আইনের অধীনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য আইনটিকে ‘মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯’ এর তফসিলভুক্ত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে।” মন্ত্রী জানান, নিরাপদ খাদ্য আইনের অধীনে ‘নিরাপদ খাদ্য বিধিমালা-২০১৪’ প্রণয়ন করা হয়েছে।
এছাড়া নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক নীতিমালা-পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দিতে খাদ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে ৩০ সদস্যের জাতীয় নিরাপত্তা খাদ্য ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হবে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, পাঁচ সদস্যের একটি নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার কার্যাবলী সমন্বয় করবে। ইতোমধ্যে এই কর্তৃপক্ষে তিন সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই কর্তৃপক্ষ নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনার স্বার্থে সব খাদ্য উপাদান উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, প্রস্তুতকরণ ও বিপণন কার্যক্রম পরিবীক্ষণ ও উৎকৃষ্ট পদ্ধতির অনুশীলন ও বিপত্তি বিশ্লেষণসহ অন্য কাজ তদারকি করবে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পদস্থ প্রতিনিধি নিয়ে ২৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় খাদ্য ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটি করা হবে। “এই কমিটি নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত সব কর্তৃপক্ষ ও সংস্থার মধ্যে সমন্বয় করবে।” এর বাইরে খাদ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কারিগর কমিটিও গঠন করা হবে বলে জানান মন্ত্রী। খাদ্য সচিব মুশফেকা ইকফাৎ, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা তছির আহমদ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *