Connect with us

জাতীয়

দ্বিমুখি সমস্যায় পাটুরিয়ায় আটকা পড়েছে ৩৬ সার বহনকারী জাহাজ

Published

on

ship picভ্রাম্যমান প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ:
পদ্মা নদীর পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় নাব্যতা সংকট ও সারের বস্তা সরবরাহ অপ্রতুল থাকায় প্রায় ৩০ হাজার টন মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সার খালাসের অপেক্ষায় আটকা পড়ে আছে ৩৬ জাহাজ। পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় নোঙর করে থাকা এসব জাহাজ থেকে সার খালাস করে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি, পাবনার কাজিরহাট ও নগরবাড়িতে পাঠানোর কথা রয়েছে। এ জন্য জাহাজগুলোকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ দিন পর্যন্ত।
বুধবার বিকেলে সরেজমিনে পাটুরিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায় সারিবদ্ধভাবে এসব জাহাজ সার খালাসের অপেক্ষায় ঘাটে নোঙর করে অপেক্ষা করছে।
পাটুরিয়া ঘাট শাখার সার্ভেয়ার সরোয়ার হোসেন জানান, চট্টগ্রাম থেকে ৩১টি এবং খুলনার মংলা বন্দর থেকে ৫টি জাহাজ এসে এখানে সার খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। একেকটি জাহাজে ৭০০ থেকে ১২০০ টন পর্যন্ত সার লোড করা রয়েছে। তিনি জানান, নদীর পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় নাব্যতা সংকট দেখা দেওয়ায় জাহাজগুলো গন্তব্যস্থলে যেতে পারছে না। এছাড়া অবরোধ ও হরতালের কারণে পর্যাপ্ত সারের বস্তা সরবরাহ না থাকায় সার খালাস করতেও দেরি হচ্ছে। ঘাটে অপেক্ষারত একটি জাহাজের মাস্টার আফসার হোসেন জানান, সার খালাসের অপেক্ষায় চলতি মাসের ৬ তারিখ থেকে পাটুরিয়া ঘাটে তারা অপেক্ষা করছেন। কিন্তু কবে জাহাজ থেকে সার খালাস করা হবে এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। তিনি জানান, পদ্মা নদীর এই রুটে জাহাজ চলাচলের জন্য ১১ ফুট নাব্যতা প্রয়োজন হলেও রয়েছে ৭/৮ ফুট।
এ বিষয়ে নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক শাজাহান হোসেন বলেন, নদীপথে এখন প্রায় ৯ ফুট নাব্যতা রয়েছে। কিন্তু ওই জাহাজগুলো তাদের ধারণক্ষমতার চাইতে বেশি সার বহন করায় এ সমস্যা হচ্ছে। নাব্যতা স্বাভাবিক রাখতে ইতোমধ্যেই নগরবাড়ির মোল্লার চরে ড্রেজিং চলছে বলেও তিনি জানান।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *