Connect with us

দেশজুড়ে

আগুন নেভানোর প্রযুক্তি; গাইবান্ধার ক্ষুদে ৫ বিজ্ঞানী পুরস্কৃত

Published

on

গাইবান্ধা : গাইবান্ধার ৫ ক্ষুদে বিজ্ঞানীর দ্রুত পেট্রল বোমার আগুন নেভানোর নব উদ্ভাবিত প্রযুক্তি জাতীয় বিজ্ঞান সপ্তাহে জুনিয়র গ্র“পে সপ্তম স্থান অধিকার করেছে। জেলা শহরের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আমার বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থী এই ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা হলো সাইয়েদ সাইফুল¬াহ নাঈম, আশিকুর রহমান স্মরণ, প্রতীক সরকার রিতুল, সাখাওয়াত সিদ্দিক রবিন ও এ.কে.এম. মাহমুদুল হাসান।

উল্লেখ্য, দ্রুততম সময়ে পেট্রল বোমার আগুন নেভানো তাদের এই প্রযুক্তি গাইবান্ধা জেলার জাতীয় বিজ্ঞান প্রযুক্তি সপ্তাহ ও বিজ্ঞান মেলায় প্রথম অধিকার করে এবং রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে তারা তৃতীয় স্থান লাভ করে। সবশেষে দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে জুনিয়র গ্রুপে জাতীয় পর্যায়ে সপ্তম স্থান অধিকার করতে সক্ষম হয়। তাদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তির নাম তারা দিয়েছে ‘বোমাই ঠেকিয়ে দেবে বোমা’।

উল্লেখ্য, বাস, ট্রাক, বাসাবাড়ি বা যেকোন প্রতিষ্ঠানে দুর্বৃত্তরা প্রেটলবোমা ছুঁড়ে আগুন ধরিয়ে দিলে ওদের এ বোমা পাল্টা নিক্ষেপ করলে মাত্র কয়েক সেকেন্ডে আগুন নিয়ন্ত্রনে আসবে। বোমা তৈরীর উপকরণ বলতে খাবার সোডা, ভিনেগার ও একটি কাঁচের বোতল। একটি কাঁচের বোতলে কিছু ভিনেগার ও খাবার সোডা ঢুকিয়ে বোতলের মুখটা বন্ধ করে দিলেই হয়ে যায় প্রতিরক্ষামূলক এ বোমা। পরীক্ষামূলকভাবে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর তাদের তৈরী বোমা দিয়ে তা মুহুর্তের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

তারা জানায়, ভিনেগার ও খাবার সোডা কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন করে। কার্বন ডাই-অক্সাইড দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলে। একটি মাঝারি বাসের জন্য ১০ থেকে ১৫টি বোমা ব্যবহার করলেই আগুন নেভানো সম্ভব। আগুনের ভয়াবহতা অনুযায়ি বোমার সংখ্যা বা আকৃতি বৃদ্ধি করা যেতে পারে। প্রতিটি আগুন নিরোধক ওই বোমা তৈরি করতে মাত্র ৪০ টাকা খরচ হবে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *