জাতীয়
আদালতে গেলেন, তাহলে মানুষ মারলেন কেন-খাদ্যমন্ত্রী
রোববার সকালে জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া তার কার্যালয়ে স্বেচ্ছায় অবস্থান করছিলেন। সেখান থেকে তিনিই স্বেচ্ছায় বের হয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি সিটি নির্বাচনে এসেছে, ভাল কথা। কিন্তু লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের নামে তারা আবার নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। তারা ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করতে চায়। আমরা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে চাই। অহেতুক উল্টাপাল্টা কিছু বলবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড মানে এই না, যারা মানুষ মেরেছে তাদের পুলিশ খুঁজবে না। যারা জেলে আছে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে। তাদের কোনভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। তারা যত বড়ই হোক না কেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।’
কামরুল ইসলাম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে আরো বলেন, ‘আদালতে গেছেন, দীর্ঘদিন যান না। এটা মামলাকে বিলম্বিত করার কৌশল। আদালত তাকে জামিন দিয়েছে। আশা করি, খালেদা জিয়া আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবেন। বিচার বিলম্বিত করার আর কোন কৌশল নিবেন না।’
এ ছাড়া নয়াপল্টনের কার্যালয়ে না যাওয়াটা বিএনপি নেতাদের সাহসের অভাব বলেও মন্তব্য করেন কামরুল ইসলাম। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নয়াপল্টনের কার্যালয়ে তো পুলিশ পাহারা দেওয়ার জন্য ছিল। সেখানে না যাওয়াটা তাদের সাহসের অভাব। যাক সিটি নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি গণতন্ত্রের পথে ফিরে এসেছে।’
নাট্যব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, মহানগর নেতা হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু প্রমুখ।