লাইফস্টাইল
আপনাকে মৃত্যু মুখে ঠেলে দিচ্ছে যে বিষাক্ত মানুষগুলো
কী করেন নেতিবাচক মানুষগুলো? তারা সর্বক্ষণ সবকিছু নিয়ে অভিযোগ করেই যেতে থাকেন। তার জীবনটাই সবচাইতে কষ্টের, অন্যরা তার চাইতে অনেক ভালো আছে তা প্রমাণ করতেই তারা উন্মুখ। আলোচনা যেভাবেই শুরু হোক না কেন, তারা নিজেদের জীবনকে এর মাঝে টেনে আনবেন আর নিজেদের ছোট-বড় সব সমস্যা শুনিয়ে আপনার কান ভারি করে তুলবেন নিঃসন্দেহে।
এ ব্যাপারটা আমাদেরকে ভীষণ বিরক্ত করে সত্যি। আপনি হয়তো নিজেকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন এই ভেবে যে আপনি মানুষটির অভিযোগ শুনে হয়ত তার উপকার করছেন, হয়তো আপনাকে বলে নিজের কষ্ট একটু হালকা করছেন তিনি। কিন্তু ব্যাপারটা এরচাইতেও বেশি গুরুতর। নেতিবাচক এসব মানুষের সংস্পর্শে থাকলে আপনি কিছু শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হবেন। আপনার হৃৎপিণ্ডের গতি বেড়ে যাবে। একটা সময়ে দেখা যাবে ওই মানুষটির ছড়ানো স্ট্রেসে হার্ট অ্যাটাক করে আপনিই মারা যাচ্ছেন। এত ভয়াবহ কিছু না হলেও ছোটখাটো সমস্যা হতে পারে হরহামেশাই। তাদের স্ট্রেসের প্রভাব আপনার ওপরেও পড়বে। আপনার হজমশক্তি, ত্বকের সুস্থতা, চুল পড়া এমনকি টাক হয়ে যাবার মতো সমস্যার জন্য দায়ী হতে পারেন এসব মানুষ। শারীরিক সমস্যার কথা বাদ দিলেও মানসিক সমস্যাগুলো রয়ে যায়। এসব মানুষের কারণে আপনার মস্তিষ্ক চাপে থাকে। তখন আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না, সমস্যার সমাধান করতে পারেন না, আপনার মনোযোগ অনেকটাই কমে যায়।
এই সমস্যার একটিই সমাধান, আর তা হলো জীবন থেকে এসব মানুষকে বাদ দেওয়া। একটা সময়ে তারা আপনার জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে এটা একেবারেই নিশ্চিত। যতো বেশি সময় আপনি তাদের সাথে থাকবেন, আপনিও তাদের মতো হয়ে যাবেন। আপনি তাদের মতো অঙ্গভঙ্গি, মুখভঙ্গি করতে থাকবেন। এমনকি আপনার মানসিকতাও তাদের মতো হয়ে যাবে। আপনার কিছুই ভালো লাগবে না, মনে হবে আপনার জীবনে ভালো কিছুই নেই। অন্যকে নিজের দুঃখের কথা বলে আপনি তৃপ্তি পাওয়া শুরু করবেন। তাই নিজেকে রক্ষার জন্যই এসব মানুষের থেকে দূরে সরে যাওয়া আপনার জন্য জরুরী।
তারমানে এই নয় যে আপনি আপনার আশেপাশের মানুষের দরকারের সময়ে তাদেরকে অবজ্ঞা করবেন। কিন্তু অন্যকে সাহায্য করার আগে অবশ্যই নিজের যত্ন নিন। নিজের ভালো মেজাজ বজায় রেখে তারপরই অন্যকে সাহায্য করুন।
আর যদি এসব নেতিবাচক মানুষের সঙ্গ ছাড়তে না পারেন, অন্তত তাদের অভ্যাস পরিবর্তনের চেষ্টা করুন। তারা যখনই আপনার কাছে সমস্যা নিয়ে নাকি কান্না করতে আসবে, তখন তাদেরকে ঠাণ্ডা মাথায় জিজ্ঞাসা করুন এই সমস্যা মোকাবিলায় তারা কী করতে চান। এই কাজটি করলে এক ঢিলে দুই পাখি মারা হবে। প্রথমত তারা বুঝতে পারবে আপনাকে তারা বিমর্ষ করে তুলতে পারবে না। আর তারা এটাও বুঝতে পারবে যে এই অতিরিক্ত নাটুকেপনা করে লাভ হবে না, আপনি তাদের এই মনোভাব ধরতে পেরেছেন। এতে ভালো একটি কাজ হবে, তারা আপনার সাথে সমস্যা সমাধানের উপায় নিয়ে আসলেই ভালো কোনো আলোচনা শুরু করতে পারবে। এভাবেই আপনি নিজের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে পারবেন আর বিষাক্ত এই ধরণের মানুষকেও পরিবর্তনের আলো দেখাতে পারবেন।