দেশজুড়ে
আমতলীর অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই
আমতলী প্রতিনিধি, পটুয়াখালী:
রাষ্ট্রভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠার ৬৩ বছর পরেও আমতলী উপজেলার প্রায় ৩শ’ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভাষা শহীদদের স্মরণে কোন শহীদ মিনার নেই। ফলে ভাষা দিবসে কোথাও বাঁশ, কাঠ, কোথাও কলাগাছ ও মাটি দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে সেখানে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক অফিস সূত্রে জানা গেছে, আমতলী উপজেলায় ২শ’ ১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫টি কলেজ, ২৮টি মাদ্রাসা, মাধ্যমিক ও নি¤œমাধমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৩৯টি। সব মিলে ৩শ’১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আমতলী ডিগ্রি কলেজে শহীদ মিনার রয়েছে। ভাষা আন্দোলনের দীর্ঘ ৬৩ বছর অতিক্রান্ত হলেও সরকারি কিংবা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে আজ পর্যন্ত আমতলীর ৩শ’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন শহীদ মিনার গড়ে ওঠে নি। শহীদ মিনার না থাকায় একুশে ফেব্র“য়ারি আসলেই শিক্ষার্থীরা নিজ উদ্যোগে বাঁশ, কাঠ, কোথাও কলাগাছ ও মাটি দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে সেখানে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। এবারও একইভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ করে সেখানেই পুষ্পমাল্য অর্পণ করতে হবে উপজেলার কয়েক হাজার শিক্ষার্থীকে। আমতলী এ কে পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুর রশিদ জানান, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হলে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা ভাষা আন্দোলনের ব্যাপারে জানতে আরও আগ্রহ প্রকাশ করবে। না থাকায় শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকরা এ দিবস সম্পর্কে তেমন একটা গুরুত্ব দেয় না। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা আমতলীর অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে তালিকা এবং সম্ভাব্য খরচের হিসাব করে গত বছর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বরাদ্দ পাওয়া যায় নি। বরাদ্দ পাওয়া গেলে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারি খরচে শহীদ মিনার নির্মাণ করে দেওয়া হবে।