Connect with us

খেলাধুলা

আমি বলের পেছনে, ব্লাটার শ্যাম্পেনের: ম্যারাদোনা

Published

on

স্পোর্টস ডেস্ক:
বিশ্ব ফুটবল নিয়ামক সং¯হার নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই শেপ ব্লাটারের বিরুদ্ধে আক্রমণের সুর চড়াচ্ছেন দিয়েগো মারাদোনা। এমনিতেই কেউ কাউকে সহ্য করতে পারেন না। এবার ফিফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্লাটারের বিরুদ্ধে অল আউট আক্রমণে নেমেছেন ফুটবল রাজপুত্র। ব্লাটারের বিরুদ্ধে অন্যতম প্রার্থী জর্ডনের রাজা আলি বিন আল-হুসেন। তাকেই সমর্থন করছেন মারাদোনা। তার স্পষ্ট মত, এবার পরিবর্তন দরকার। তিনি বলেছেন, ‘প্রিন্স আলি একজন ভাল প্রেসিডেন্ট হবেন, এটা যদি বিশ্বাস না করতাম, তাহলে তো ওকে সমর্থন করার প্রশ্নই আসত না।’ তার পর জুড়ে দিয়েছেন, ‘গোটা ফুটবল বিশ্ব জানে, ফিফার অভ্যন্তরে কী চলছে। অরাজকতায় ভরা। সেখানে একটা লোক আছে, তিনিই সব কিছু ঠিক করেন। কিন্তু তিনি একেবারেই কিছু জানেন না। সুতরাং এটাই সময়, পরিবর্তনের। ওঁর সহকর্মীদের ওঁকে পরামর্শ দেওয়া উচিত, ওই পদ থেকে সরে যাওয়ার জন্য। যেদিন থেকে উনি ওখানে আছেন, ফুটবলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। সত্যিই সময় এসেছে, ওঁর সরে দাঁড়ানোর। দায়িত্ব দেওয়া উচিত তাদেরই, যাঁরা পূর্ণ শক্তি নিয়ে ফুটবলকে নতুনভাবে তুলে ধরবেন। কারণ খেলাটা আরও গরিব হয়েছে, দুর্নীতিতে ভরে গেছে।’ ব্লাটারকে অর্থের জন্য ক্ষুধার্ত বলতেও ছাড়েননি মারাদোনা। তার কথায়, ‘প্রথমে তো জানাই যাচ্ছিল না যে, পরের বিশ্বকাপগুলো কোথায় হবে। পরে জানা গেল ব্রাজিলের পর রাশিয়া, তার পর কাতার। কোনও সন্দেহ নেই, ব্লাটার ভীত। ওঁর ভয়ের কারণ, কেকের অংশ যদি হাতছাড়া হয়ে যায়! এই ব্যাপারটা সত্যিই আমার মতো একজনের কাছে বিরক্তির, যে চারটে বিশ্বকাপে খেলেছে। আসলে আমি ছুটেছিলাম বলের পেছনে, ব্লাটার ছুটছেন শ্যাম্পেনের পেছনে।’ তবে মারাদোনা যতই আলি বিনকে সমর্থন করুন না কেন, তিনি আবার অন্য কিছু ভাবতে শুরু করেছেন। আরও দুই প্রার্থী লুই ফিগো এবং মাইকেল ভ্যান প্রাগের মতোই আলি বিন ভাবছেন, ব্লাটার বিরোধী ভোট যাতে ভাগ না হয়, সে কারণে একজন প্রার্থী থাকাই ভাল। সেক্ষেত্রে তিনি প্রার্থিপদ প্রত্যাহার করে নিতেও পারেন। কার সমর্থনে। আলি বিনের কথায়, ‘যাঁর জেতার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি থাকবে।’ তার খেলার সময় বিপক্ষ ফুটবলাররা যেভাবে তাকে আটকানোর চেষ্টা করতেন, তা নিয়েও মুখ খুলেছেন দিয়েগো মারাদোনা। সকারে এশিয়ান ফোরামে বলেছেন, ‘আমাকে আটকাতে কেউ কনুই চালাত, হাঁটু দিয়ে আঘাত করত। আমার নাক, চোখে আঘাত করার চেষ্টা করত, আমার শর্টস, জার্সি ধরে টানত। কিন্তু রেফারি কার্ড দেখাত কখন। ৯০ মিনিটের মাথায়। এখনকার দিনে হলে কেউ কেউ হয়ত গ্রেপ্তারও হয়ে যেত।’

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *