দেশজুড়ে
আশুলিয়ায় সাত বছরের শিশুকে চুরির অভিযোগ এনে নির্যাতন
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুল থেকে ফিরে বাসার পাসেই খেলার মাঠে খেলতে গেলে গাছে উঠে ডাব চুরির সন্ধেহে দাইয়ান খান(৫২) নামে একজন স্থানীয় ব্যক্তি ও তার ছেলে রাসেল খান (২২) মাঠে থাকা বাচ্চাদের ধাওয়া করে। এ সময় শিশু অশিকুর রহমান আশিকে তারা ধরে নিয়ে যায়।
আশিকের নানী সাজেদা বেগম জানান, তাকে টেনে হিচরে বাড়িতে নিয়ে পাঁচ ঘণ্টা ধরে নির্মম নির্জাতন চালায় ওই নরপিশাচরা। কান্না জড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, “সংবাদ পেয়ে ছুটে গিয়ে হাতে পায়ে ধরেও নির্যাতন থেকে বাঁচাতে পারলাম না আশিককে। তারা আমার নাতির পা টা ভেঙ্গে দিলো।” শিশুটির মা সন্ধ্যায় গার্মেন্টস থেকে বাড়িতে ফিরে শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশুলিয়া থানায় নিয়ে যায়।
আশুলিয়া থানার ওসি মহসিনুল কাদির তৎখনাত বিষয়টি তদন্তের জন্যে এস আই সাহাদাৎ কে ঘটনাস্থলে পাঠান। ঘটনা স্থলে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পান বলে জানান আশুলিয়া থানার এসআই শাহাদাৎ।
এস আই সাহাদাৎ আরও বলেন, শিশু আশিকের অভিবাভকদের স্বাক্ষী নিয়ে থানায় আসতে বলা হয়েছে। স্বাক্ষীসহ আসলে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোন মামলা বা সাধারন ডাইরি হয়নি।
সরেজমিনে গিয়ে সাংবাদিকরা অভিযুক্তদের সাথে কথা বললে তারা ঘটনা অস্বীকার করে জানায়, শিশুটি ডাব পারতে গেলে ধাওয়া খেয়ে গাছ থেকে পরে তার পা ভেঙ্গে যায়। সাত বছরের বাচ্চা কি করে বাউন্ডারি করা বাড়ির ভিতরের ডাব গাছে উঠেছে এমন প্রশ্ন করলে তার কোন সদুত্তর দিতে পারেনি তারা।
অশিকের মা সিমা আক্তার বলেন, “আমার স্বামী নেই, আমার ছেলের নির্যাতনকারী দাইয়ান খান এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি। তিনি ইতোমধ্যেই এলাকা ছাড়ার হুমকি-ধামকি দিতে শুরু করেছেন। এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আমি আমার পরিবারের নিরাপত্তা এবং এর সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।”
প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত দাইয়ান খান ২০১৪ সালের শিমুল তলায় তিতাস গাড়ির ড্রাইভাড় পিটিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি এবং তার ছেলে একই মামলার দুই নম্বার আসামি (৩০২/৩৪ ধারায় ১৮/১০/২০১৩ইং মামলা নং- ৩৮/৮৪৬) । তারা দুইজনই এই হত্যা মামলায় জামিনে আছে।