ঠাকুরগাঁও
রাণীশংকৈলে রমরমা আইপিএল জুয়া
ক্রিকেট জুয়া শুধু সরাসরি নয় মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও ঠাকুরগাও, বগুড়া, রংপুর কিংবা অন্য কোথাও বাজিকর থাকলে সেখানে বাজি ধরা হয়। কোন খেলোয়াড় বেশী রান পাবে, কে বেশী উইকেট পাবে, কে বেশী ছক্কা মারবে, কে বেশী চার মারবে, কোন বলে চার বা ছয় হবে এসবের উপর প্রতি মুহুর্তে চলে বাজিকরদের বাজি খেলা।
ক্রিকেট জুয়ার খপ্পরে নিঃস্ব হয়েছে, কেউ বা আবার ল্যাপটপ, মোবাইল, জমি বিক্রী, কেউবা স্বর্ণের চেইন, আংটি, নগদ টাকা হেরে হয়েছেন সর্বসান্ত। অনেকে বন্ধু বান্ধব, আত্মীয় স্বজনসহ অনেকের কাছে ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়েছে ।
সা¤প্রতিক ক্রিকেট জুয়া সামাজিক অবক্ষয়ের আশংকায় পরিণত হয়েছে। শুধু আইপিএল না এমনিভাবে সারা বছর অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক, ওয়ানডে, টেষ্ট, টি-২০, বিপিএল, বিশ্বকাপ আসর, এমনকি দেশ বিদেশের ঘরোয়া লীগগুলো ঘিরে বাজিকরদের চলে রমরমা জুয়া বানিজ্য।
ক্রিকেট জুয়ার ব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম বলেন, ক্রিকেট জুয়ার ব্যাপারে লোক লাগানো আছে কিন্তু পুলিশের কাছেতো কেউ শিকার করেন না।
উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা খন্দকার মো. নাহিদ হাসান বলেন, এটা সমাজের ব্যাধিতে পরিণত হয়ে গেছে। সকলের সহযোগিতায় দ্রুত সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।