আন্তর্জাতিক
ইউক্রেইনের বিদ্রোহীরা ভারী অস্ত্র সরিয়ে নিয়েছে
ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চল থেকে রুশপন্থি বিদ্রোহীরা “উল্লেখযোগ্য” সংখ্যক ভারী অস্ত্র সরিয়ে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো। সোমবার টেলিভিশনের সঙ্গে কথা বলার সময় পোরোশেঙ্কো এ কথা জানান বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে বিবিসি। সরকারি বাহিনীও রকেট ও কামানসহ “সিংহভাগ” ভারী অস্ত্রশস্ত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনদিন আগে পোরোশেঙ্কো অভিযোগ করে বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক তদারকি সত্ত্বেও পূর্ব ইউক্রেইনের বিদ্রোহীরা ভারী অস্ত্র সরিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে গড়িমসি করছে। ১২ ফেব্র“য়ারি বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে ফ্রান্স ও জার্মানির উদ্যোগে এবং রাশিয়ার সম্মতিতে ইউক্রেইন সরকার ও বিদ্রোহী বাহিনীর প্রতিনিধিদের মধ্যে একটি অস্ত্রবিরতি চুক্তি হয়। ওই চুক্তির শর্তানুযায়ী ১৫ ফেব্র“য়ারি থেকে দুপক্ষের মধ্যে অস্ত্ররিবতি শুরু হওয়ার পাশাপাশি উভয়পক্ষের ভারী অস্ত্র সরিয়ে নেয়ার কথা রয়েছে। তিনদিন আগে করা অভিযোগ থেকে সরে এসে পেরোশেঙ্কো বলেছেন, “রকেট ও কামানসহ ভারী অস্ত্রশস্ত্রের সিংহভাগ সরিয়ে নিয়েছে ইউক্রেইন। রুশ-সমর্থিত যোদ্ধারাও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সরিয়ে নিয়েছে।” অস্ত্রবিরতি চলার বিষয়ে তিনি বলেছেন, “সেখানে অস্ত্রবিরতি চলছে কি চলছে না, তা আপনি কিভাবে দেখছেন তার উপর নির্ভর করে।” ১৫ ফেব্র“য়ারি অস্ত্রবিরতি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেইনীয় বাহিনীর ৬৪ জন সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া বিদ্রোহী লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ১,৫৪৯ জন ইউক্রেইনীয় সেনা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। চুক্তি অনুযায়ী, দুপক্ষের অবস্থানে মধ্যে ১০০ মিলিমিটার ও তার বেশি ক্যালিবারের কামানের জন্য ৫০ কিলোমিটার, বহুমাত্রিক রকেট সিস্টেমের জন্য ৭০ কিলোমিটার এবং ভারী রকেট ও মিসাইলের জন্য ১৪০ কিলোমিটার বাফার জোন গড়ে তোলার কথা রয়েছে। সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নেই নির্দিষ্ট দূরত্বে দুপক্ষের ভারী অস্ত্র সরিয়ে নেয়া কথা রয়েছে।