জাতীয়
ইন্দোনেশিয়ায় ৭ শতাধিক বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা উদ্ধার
ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে অভিবাসীবাহী একটি নৌকাডুবির পর সাত শতাধিক বাংলাদেশি ও মিয়ানমারের রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে স্থানীয় জেলেরা। তাদের আচেহ প্রদেশের পূর্বাঞ্চলীয় লাংসা বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর আগে নৌকাটি মালয়েশিয়া উপকূলে পৌঁছালে দেশটির নৌবাহিনী সেটিকে ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র সীমায় পাঠিয়ে দেয়।
হেলিকপ্টার থেকে নিচে ফেলা হচ্ছে খাবার ও পানির বোতল। আর সেগুলো ধরতে যেন মরিয়া সাগরে দিনের পর দিন অনাহারে থাকা মৃত্যুর সাথে লড়াই করা এই মানুষগুলো। তাদের চোখেমুখে বেঁচে থাকার আকুল আকুতি, নিজের জন্য না হলেও সন্তানের জন্য একটু খানি, খাবার আর আশ্রয়ই এই মানুষগুলোর এখন একমাত্র চাওয়া ।
ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় সাত শতাধিক বাংলাদেশি এবং মিয়ানমারের এই রোহিঙ্গারা যাত্রা শুরু করেছিল মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে। অভিবাসীবাহী নৌকাটি মালয়েশিয়া উপকূলে পৌঁছালে দেশটির নৌবাহিনী সেটিকে ইন্দোনেশিয়া সমুদ্র সীমার দিকে ঠেলে দেয়।
ইন্দোনেশিয়ার আচেহ উপকূলে পৌঁছানোর পর নৌকাটি ডুবতে শুরু করলে স্থানীয় জেলেরা তাদেরকে উদ্ধার করে তীর নিয়ে আসে বলে জানায় ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ। উদ্ধারকৃত ৭’শ ১২জন অভিবাসীকে শুক্রবার আচেহ প্রদেশের পূর্বাঞ্চলীয় লাংসা বন্দরে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এর আগে বুধবার, মালয়েশিয়ার পেনাং ও লাংকাবি দ্বীপের উপকুলীয় এলাকা থেকে অবৈধ অভিবাসীবাহী দুটি নৌকাকে মালয়েশিয়া সমুদ্রসীমা থেকে ফেরত পাঠায় দেশটির নৌবাহিনী। এছাড়াও, অভিবাসীবাহী আরও একটি নৌকা থাইল্যান্ড উপকূলে পৌঁছালে সেটিকে নিজ সমুদ্রসীমায় ঢুকতে না দিয়ে ইন্দোনেশিয়া উপকূলের দিকে ঠেলে দেয় থাইল্যান্ডের কোস্টগার্ড।
এদিকে, থাইল্যান্ড উপকূলে আন্দামান সাগরে নৌকায় ভাসতে থাকা রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের বাঁচাতে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। বৃহস্পতিবার, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানানো হয়।