Connect with us

আন্তর্জাতিক

ইরাক ও সিরিয়ায় পিছু হটছে আইএস, কমছে সদস্য সংখ্যাও

Published

on

isআইএসের কাছ থেকে মানবিজ শহরের বিশাল অংশ দখলে নেওয়ার দাবি মার্কিন বাহিনীর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়ার মানবিজে খেলাধূলা করছে শিশুরাযুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় সামরিক কমান্ডার সিন ম্যাকফারল্যান্ড দাবি করেছেন, ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসবিরোধী সামরিক অভিযানে এ পর্যন্ত শত্রুপক্ষের ৪৫ হাজার যোদ্ধাকে ঘায়েল করা সম্ভব হয়েছে। আর এর মধ্য দিয়ে আইএস যোদ্ধাদের সংখ্যা কমে এখন ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজারে দাঁড়িয়েছে। অবশ্য এর আগের হিসেবে আইএস যোদ্ধাদের সংখ্যা ১৯ হাজার থেকে ২৫ হাজার বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে আইএস যোদ্ধাদের সংখ্যা কমলেও এ সংগঠনটিকে হুমকি বলেই বিবেচনা করতে হবে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগনে এক সংবাদ সম্মেলনে লেফটেন্যান্ট জেনারেল সিন ম্যাকফারল্যান্ডদাবি করেন, আইএসের দক্ষতা ও যোদ্ধার সংখ্যা দুটোই কমছে। ইরাক ও সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত স্থানীয় বাহিনীগুলো ব্যাপক সাফল পাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সব দিক থেকে শুত্রুপক্ষ পিছু হটছে’। তবে আইএস যোদ্ধাদের সংখ্যা এখন ঠিক কত তা যথার্থভাবে বলা খুব মুশকিল বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। অবশ্য আইএসের সদস্য সংখ্যা কমলেও এ জঙ্গি সংগঠনটি হুমকি হিসেবেই বিরাজমান থাকতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।
ম্যাকফারল্যান্ড বলেন, ‘ইরাক ও সিরিয়ায় সামরিক বাহিনীর সাফল্যের মানে এ নয় যে আইএসের সমাপ্তি ঘটছে। এ সংগঠনটিকে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবেই আমাদেরকে বিবেচনা করতে হবে। মাথায় রাখতে হবে তারা বাগদাদে ৩ জুলাইয়ে ও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে চালানো হামলার মতো ভয়াবহ হামলা চালাতে পারে’।
ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসে যোগ দিতে চাওয়া বিদেশি জিহাদির সংখ্যাও দিন দিন কমছে বলে দাবি করেন ম্যাকফারল্যান্ড। তার দাবি, সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) মানবিজ শহরের বিশাল অংশ পুনর্দখলে নিয়েছে। শত্রুপক্ষের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলো ক্রমাগত সংকুচিত হচ্ছে। ইরাকের মসুল শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া শুরু করার জন্য দেশটির সরকারি বাহিনী অবস্থান নিয়েছে বলে জানান তিনি। মসুল পুনর্দখলের যুদ্ধে কায়ারাহ বিমান ঘাঁটিকে কেন্দ্রস্থল হিসেবে ব্যবহার করার আগে সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু কাজ করা বাকি আছে বলেও উল্লেখ করেন ম্যাকফারল্যান্ড।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, মসুল থেকে আইএসকে হটানোর যুদ্ধে ওই বিমান ঘাঁটিকে কেন্দ্রস্থল করার কাজে সহায়তার জন্য ইরাকে অতিরিক্ত ৫৬০ জন সেনা সদস্য মোতায়েনের অনুমতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ২০১৪ সাল থেকে মসুলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শহরটিকে নিজেদের সদর দফতর হিসেবে ব্যবহার করে আসছে আইএস।
নতুন করে মোতায়েনের অপেক্ষায় থাকা মার্কিন সেনাদলের মধ্যে থাকছে ইঞ্জিনিয়ার, সরবরাহকারী কর্মী, নিরাপত্তা কর্মী এবং যোগাযোগ সংশ্লিষ্ট বাহিনী। মার্কিন বাহিনীর কিছু দল ঘাঁটির ভেতর ও বাইরে থেকে কার্যক্রম মূল্যায়ন করবে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *