Connect with us

আন্তর্জাতিক

তুরস্কে জোড়া বোমা হামলা ও গুলি: নিহত ১৩

Published

on

turkeyআন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্কে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলেরর কুর্দি অধ্যুষিত এলাকায় জোড়া বোমা হামলায় ও ইরাক সীমান্ত থেকে চালানো রকেট ও কামানের গোলাবর্ষণে মোট ১৩ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) বিদ্রোহীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে রাষ্ট্রটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। বুধবারের এসব হামলার ঘটনায় অন্ততপক্ষে ৬১ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার সকালে সীমান্তের ওপারে ইরাকি এলাকা থেকে বিদ্রোহীদের ছোড়া রকেট ও কামানের গোলায় চার সেনা নিহত ও নয় সেনা আহত হন। সিরনাক প্রদেশে চালানো এই হামলার জন্য পিকেকে-কে দায়ী করেছে তুর্কি নিরাপত্তা বাহিনী। মারদিন প্রদেশে সিরীয় সীমান্তবর্তী কিজিলতেপি শহরে একটি হাসপাতালের কাছে চালানো দূর-নিয়ন্ত্রিত বোমার বিস্ফোরণে চার বেসামরিক নিহত হন। একটি পুলিশ বাসকে লক্ষ্য করে রাস্তার পাশে পেতে রাখা বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে জানিয়েছে সূত্রগুলো। এতে আরো ৩০ বেসামরিক ও ১০ পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন।
দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বৃহত্তম শহর দিয়ারবাকিরে চালানো একটি গাড়িবোমা হামলায় আরো পাঁচ বেসামরিক নিহত হন। সূত্রগুলো জানিয়েছে, সম্ভবত পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয়েছিল। টাইগ্রিস নদীর একটি সেতুতে পুলিশের তল্লাশি চৌকির কাছে চালানো এ হামলায় পাঁচ পুলিশ ও সাত বেসামরিক আহত হন।
তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কুর্দি অধ্যুষিত এলাকাগুলোর স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আঙ্কারা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে পিকেকে-র গেরিলারা। মাঝে দুপক্ষের মধ্যে একটি অস্ত্রবিরতি চললেও গেল বছর তা ভেঙে পড়ে। তারপর থেকে দুপক্ষের মধ্যে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র সংঘর্ষ চলছে।
গেল মাসের ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের ধকল কাটিয়ে উঠার চেষ্টারত তুরস্ক ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সন্ত্রাসী হামলারও মোকাবিলা করছে।
১৫ জুলাইয়ের ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে ২৪০ জন নিহত ও দুই হাজার ২০০ জন আহত হন। এর জেরে এ পর্যন্ত প্রায় ৬৩ হাজার লোককে আটক, বরখাস্ত বা তদন্তের অধীনে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই সামরিক বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর সদস্য। এ ছাড়াও বিচারক, শিক্ষা বিভাগ ও সরকারি চাকরিজীবীদেরও বরখাস্ত করা হয়েছে। বিবিসি।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *