জাতীয়
একনেকে ৪৬০৬ কোটি টাকার ৮ প্রকল্প অনুমোদন
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় এই প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিফ্র করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৫৮ মিলিয়ন। কিন্তু কারিগরি শিক্ষায় বর্তমানে ছাত্রছাত্রীর অন্তর্ভুক্তির সংখ্যা মাত্র ১১ শতাংশ। উন্নয়নশীল দেশ যেমন, কোরিয়া, থাইল্যান্ড ও চায়নায় কারিগরি শিক্ষায় ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৩৫ শতাংশ, ৪৭ শতাংশ ও ৫০ শতাংশ। উন্নত দেশেও কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন জনশক্তির সংখ্যা ৫০ শতাংশের ঊর্ধ্বে।’
মন্ত্রী জানান, চলতি অর্থবছরে মোট ২৭৮টি প্রকল্পের বিপরীতে ২ লাখ ৬৮ হাজার ১৬৯ কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়। গত অর্থবছরে ২১২টি প্রকল্পের বিপরীতে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে গত অর্থবছরের চেয়ে ৬৩ শতাংশ বরাদ্দ বেড়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও জানান, একনেকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘শিল্প-কারখানাও ব্যবস্যা প্রতিষ্ঠানে জায়গা দিলে সরকারিভাবে ডে-কেয়ার সেন্টার করা হবে। এ ছাড়া এখন থেকে রাস্তা তৈরি করতে হলে ৪ লেনে করার পরিকল্পনা করতে হবে। ৫০ বছরের কথা চিন্তা করে এট করতে হবে।’’
অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো, ২ হাজার ২৮১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০০টি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপন প্রকল্প। ৪৭৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্প। ৫৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০টি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প।
এছাড়া পাঁচদোনা-ডাঙ্গা-ঘোড়াশাল সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা। কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী ও উলিপুর উপজেলাধীন বৈরাগীর হাট ও চিলমারী বন্দর ব্রহ্মপুত্র নদের ডান তীরের ভাঙন থেকে রক্ষা প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা। উন্নত জাতের গাভি পালনের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত মহিলাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। হাতে কলমে কারিগরি প্রশিক্ষণে মহিলাদের গুরুত্ব দিয়ে বিটাকের কার্যক্রম সম্প্রসারণপূর্বক আত্ম কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৭১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪০ কোটি টাকা।