Connect with us

জাতীয়

কলাবাগান হত্যাকাণ্ড: হামলাকারীদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার

Published

on

banladesh_gay_deadbody_6বিডিপি ডেস্ক: কয়েক ঘণ্টাব্যাপী তল্লাশী, অনুসন্ধান এবং আলামত সংগ্রহ কার্যক্রম শেষে নিহত জুলহাজ মান্নান এবং মাহবুব রাব্বির মৃতদেহ বের করে এনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় ময়না তদন্তের জন্য।
ঢাকায় পুলিশ বলছে, গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যায় সমকামীদের অধিকার বিষয়ক একটি পত্রিকার সম্পাদক-সহ দুজনকে বাসায় ঢুকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায়, আততায়ীদের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোনসেট-সহ গুরুত্বপূর্ণ আলামত উদ্ধার করতে পেরেছে তারা। প্রযুক্তি ব্যবহার করে এখন মোবাইল ফোনগুলো থেকে তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
রাতেই এ ঘটনায় কলাবাগান থানায় দুটি মামলা হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহতদের ময়না তদন্ত চলছিল। হত্যাকাণ্ডের পরপরই কলাবাগানের ওই ভবনটিকে কর্ডন করে ৬-৭ ঘণ্টা ব্যাপী তল্লাশি, অনুসন্ধান এবং আলামত সংগ্রহ কার্যক্রম চালায় পুলিশ। একই ধরণের পূর্ববর্তী হত্যাকাণ্ডগুলোতে ছবি তোলা সহ তথ্য সংগ্রহের জন্য সাংবাদিকদের ঘটনাস্থলের খুব নিকটে যেতে দেয়া হলেও কলাবাগানের এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাংবাদিকদের ঘটনাস্থলের আশপাশেই ভিড়তে দেয়া হয়নি।
মঙ্গলবার সকালে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ডেপুটি কমিশনার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিবিসিকে বলেন, পুলিশ সারারাত ধরেই কাজ করেছে। আসামীদের ধরার জোর প্রচেষ্টা চলছে।
“তদন্তের অবস্থা একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে। অনেক কিছুই এখানে থাকতে পারে, তারমধ্যে দেশীয় জঙ্গিরাও এখানে থাকতে পারে, এরকমটা মনে হচ্ছে। অস্থিতিশীল করার জন্যও কিছু করতে পারে। এসব কিছু নিয়েই আমাদের তদন্ত এগিয়ে চলছে”।
বহুতল এই ভবনের একটি ফ্ল্যাটেই খুন হন মি. মান্নান এবং মি. রাব্বি। গতকাল পুলিশ কোন সাংবাদিককেই ভবনটিতে ঢুকতে দেয়নি। নিহতদের একজন জুলহাজ মান্নান ছিলেন সমকামীদের অধিকার বিষয়ক একটি পত্রিকা রূপবানের সম্পাদক। একই সাথে তিনি মার্কিন দাতা সংস্থা ইউএসএইডেও কাজ করতেন।
এর আগে তিনি ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসে কর্মরত ছিলেন এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত ড্যান ডি. মজিনার প্রোটকল কর্মকর্তা ছিলেন। বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং এখন সরকারী দল আওয়ামীলীগের একজন সংসদ সদস্য ডা: দীপু মনির খালাতো ভাই মি. মান্নান। নিহত অপরজনের নাম মাহবুব রাব্বি। তিনি মি. মান্নানের বন্ধু এবং একজন নাট্যকর্মী।
সংবাদদাতা কাদির কল্লোল ঘটনাস্থল থেকে ফিরে জানান, তিনি কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলেছেন, যারা সন্ধ্যায় ওই ভবনটি থেকে চার-পাঁচজন সশস্ত্র তরুণকে বেরিয়ে যেতে দেখেছেন।
তাদের হাতে ছিল পিস্তল ও চাপাতি। তারা গুলি ছুড়ছিল এবং চাপাতি উঁচিয়ে আল্লাহু আকবর ধ্বনি দিচ্ছিল, বলছিলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। জানা যাচ্ছে হামলাকারীরা প্রথমে কুরিয়ার সার্ভিস থেকে এসেছে বলে ভবনটিতে ঢুকতে চেয়েছিল, কিন্তু দ্বাররক্ষী তাদের বাধা দেয়।পরে তারা দ্বাররক্ষী-সহ দুজনকে আহত করে জোরপূর্বক ভবনটিতে ঢুকে মি. মান্নান এবং মি. রাব্বিকে হত্যা করে। পুরো ঘটনা ঘটাতে তারা সময় নিয়েছে ৫ থেকে ৬ মিনিট।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *