আন্তর্জাতিক
কলেজ ছাত্রীর সুইসাইড নোট, ‘আমি মরলে প্রাণ খুলে মদ খেয়ো’
বাবা চেয়েছিলেন, ধৈর্য ধরতে না-পারলে ছেলেটির সঙ্গে মেয়ের ব্রেকআপ। মেয়ে সেই ব্রেকআপ-ই করলেন। তবে পরিবারের সঙ্গে, চিরদিনের মতো। স্থানীয় একটি বহুতলের ছাদে উঠে, মরণঝাঁপে নিজের জীবনের পাশে দাঁড়ি টেনে দিলেন। গোটা ঘটনার সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটির স্কুটি থেকেই একটি সুইসাইড নোট পেয়েছে গুজরাত পুলিশ।
পুলিশ জানায়, বিকম অনার্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন দিব্যা। তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে, ৬ মাস আগে একটি অফিসে ডেটা এন্ট্রির কাজ পেয়েছিলেন এই তরুণী। কলেজে পড়াশোনার সেই এই চাকরটিও করছিলেন। সেখানেই একটি ছেলের সঙ্গে আলাপ। আলাপ থেকে প্রেম। সেই প্রেমের খবর অফিসে রাষ্ট্র হতেই চাকরি চলে যায় যুগলের। মেয়েটির বাড়িতেও এই সম্পর্কের কথা জানাজানি হয়।
মেয়েটির বাবার অবশ্য এই সমেয়ে পড়াশোনা শেষ করার আগেই বিয়ে করে ফেলুক। তাই দু-বছর পর মেয়ের বিয়ে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। এই সম্পর্কের কারণে পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটলে, ব্রেকআপেরও পরমর্শ দেন। এই নিয়েই অশান্তি চলছিল পরিবারে। যার জেরে গত শনিবার বাড়ির অদূরের একটি অ্যাপার্টমেন্টে গিয়ে, তার ছাদে উঠে আত্মহত্যা করেন দিব্যা।