Connect with us

দিনাজপুর

কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলো ৬ শিশু ও কিশোর

Published

on

01হিলি প্রতিনিধি: অবৈধপথে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে এক থেকে দেড় বছর মেয়াদে ভারতের বালুরঘাট শোভায়ন হোম নামের শিশু সংশোধনাগাড়ে আটক থাকার পড়ে ৬ বাংলাদেশী শিশু ও কিশোরকে ফেরত দিয়েছে ভারত।
সোমবার সকাল সোয়া ১১টায় হিলি সীমান্তের ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট গেট দিয়ে ভারতের হিলি অভিবাসন কেন্দ্রের ওসি মো.নাজির হোসেন ওই ৬ শিশু ও কিশোরকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টের ওসি মো.রফিকুজ্জামানের হাতে তুলে দেন। এসময় সেখানে বিজিবি হিলি চেকপোষ্ট কমান্ডার হাবিলদার আবু হানিফ ও বিএসএফের হিলি ক্যাম্প কমান্ডার এসকে রাথোড, জাষ্টিস এন্ড কেয়ারের বাংলাদেশ প্রতিনিধি আতিক হাসান উপস্থিত ছিলেন। ভারত ও বাংলাদেশের জাষ্টিস এন্ড কেয়ার নামে এক সংগঠনের উদ্যোগে ও ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে শিশু ও কিশোরগুলিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
ফেরত আসা শিশু ও কিশোররা হলেন, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার পাঁচপীর গ্রামের মৃত ধলু মিয়ার ছেলে নইম আলী (১০), একই জেলার পার্বতীপুর উপজেলার গুলশাননগর গ্রামের জিয়ার ছেলে কালু নাসিম (১৫), একই উপজেলার রোস্তমনগর গ্রামের দেলোয়ার চকদারের ছেলে রাসেল চকদার (১৩), মাদারিপুর জেলার রাজৈর উপজেলার পূর্ব মহেন্দ্রদী গ্রামের রেজাউল ব্যাপারির ছেলে নান্নু ব্যাপারি (১৪), শরিয়তপুর জেলার সখিপুর উপজেলার চনপাইতলি গ্রামের বোরহান শিকদারের ছেলে হাসিবুল হাসান (১৫), ঠাকুরগাঁও জেলা সদরের গড়েয়া গ্রামের বিশুরাম মাড্ডির ছেলে কমল মাড্ডি (১৪)। এরা ১০ মাস থেকে ১৬ মাস মেয়াদে আটক ছিলেন।
ভারতের বালুরঘাট শোভায়ন হোমের কো অর্ডিনেটর সুরুজ দাস বলেন, ওই শিশু ও কিশোরগুলি বিভিন্ন সময়ে ভারতে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছিলেন। এর পরে তারা সীমান্ত রক্ষি বাহিনী ও পুলিশের হাতে বালুরঘাট ও তিরমনি নামক স্থানে আটক হন। অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় পরে তাদের আদালত থেকে বালুরঘাট শোভায়োন হোম নামের শিশু শোধনাগারে পাঠান। এখানে তারা ১০ মাস থেকে ১৬ মাস মেয়াদে আটক ছিলেন। পরে ভারত ও বাংলাদেশের হাইকমিশনের মাধ্যমে তাদের ট্রাভের পারমিট পাওয়ায় আজ শিশু ও কিশোরগুলিকে ইমিগ্রেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.রফিকুজ্জামান জানান, অনুপ্রবেশের দায়ে আটক বাংলাদেশী ৬ শিশু ও কিশোরকে আজ ভারতের হিলি অভিবাসন পুলিশ আমাদের নিকট ফেরত দিয়েছে। পরে কাগজপত্রের প্রক্রিয়া সম্পূর্ন করে শিশু ও কিশোরগুলিকে তাদের অভিবাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *