Connect with us

ঢাকা বিভাগ

কালকিনিতে দুই গ্রুপ সংর্ঘষ ও হামলায় পুলিশসহ আহত-১২ ॥ শতাধিক বোমা বিস্ফোরণ

Published

on

মাদারীপুর প্রতিনিধি ॥index madaripur dis

জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সোমবার ভোর রাতে হামলা ও রবিবার দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংর্ঘষের ঘটনায় মাদারীপুরের কালকিনি পৌর এলাকার দক্ষিণ রাজদী গ্রামে ৬জন পুলিশসহ কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছে।
দক্ষিণ রাজদী গ্রামের প্রধান সড়কে পাশের দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংর্ঘষ ও পরে হামলার ঘটনা শতাধিক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৭ রাউন্ড ফাকা গুলি ছোড়ে।
এলাকাবাসী, আহত ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, কালকিনি পৌর এলাকার উত্তর রাজদী গ্রামের মো. আকতার কাজীর সাথে দক্ষিণ রাজদী গ্রামের মিজানুর হাওলাদের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে পূর্বশত্রুতা চলছে।
এরই সুত্র ধরে মিজানুর হাওলাদার তার দলবল নিয়ে দেশী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রবিবার সকালে আকতার কাজীর ক্রয়কৃত ২০ শতাংশ জমিতে নির্মিত একটি টিন সেটের বসত ঘর ভেঙ্গে দেয়ার চেষ্টা করে।
এসময় তাদের বাঁধা দিলে উভয় পক্ষের মাঝে দফায় -দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া পরে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে।
পরে জমি দখলে ব্যর্থ হয়ে ফের মিজানুর হাওলাদারের নেতৃত্বে সোমবার ভোর রাতে তার লোকজন একেইস্থানে শতাধিক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়ে আকতার কাজীর বসতঘর লুটপাট করে নিয়ে যায়। এ সময় কালকিনি থানা পুলিশ বাঁধা দিলে তাদের উপর হামলা করা হয়। পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে করে কালকিনির পৌর এলাকার ঘুমান্ত মানুষের মাঝে চরম আতংক সৃষ্টি হয়।
সংর্ঘষ ও হামলায় আহতরা হলেন কালকিনি থানার এসআই সঞ্জয়, এসআই জসিম উদ্দিন, এএসআই জুয়েল, এএসআই কাঞ্চন, সদস্য কামরুল জামান, পরিতোষসহ উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ১২ জন। তারা কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
এ ব্যাপারে আকতার কাজী বলেন, আমি আমার ক্রয়কৃত জমিতে বসত ঘর তুললে সেই ঘর বোমা মেরে গুড়িয়ে দিয়েছে মিজানুর। আমার ঘরের মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে মিজানুর হাওলাদারের সাথে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি কৃপা সিন্দু বালা বলেন, ওই জমি হিন্দুদের। কিন্তু উভয় পক্ষই এই জমি ভোগ দখলের জন্য সংঘর্ষে জরিয়ে পরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে আমরা ৭ রাউন্ড ফাকা গুলি করি। এই ঘটনায় আমাদের পুলিশও আহত হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *