দেশজুড়ে
কালিয়াকৈরে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টা জুতা পেটা বেত্রাঘাত করে মিমাংশা
কালিয়াকৈর প্রতিনিধি, গাজীপুর:
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ভূবনেশ্বরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে(১৩) ধর্ষনের চেষ্টাকারী সবুজকে(১৯) জুতা পেটা ও বেত্রাঘাত করে সমাধান করলেন স্থানীয় মাতব্বরেরা।
অন্যান্য শিক্ষার্থী, স্থানীয় লোকজন ও ওই ছাত্রী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ্য দিন ধরে উপজেলার বলিয়াদি সানাইদা পাড়ার সবুজ ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন ভাবে রাস্তাঘাটে উত্তক্ত করে আসছিল। বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে আসার পথে সবুজ তার কয়েক বন্ধুর সহযোগিতায় ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে নিজ বাড়িতে ঘরের ভিতর আটকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় ছাত্রীর চিৎকারে ওই এলাকার ২/৩ জন যুবক ছেলে এসে মেয়েটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করলে তাদের সাথে বিবাদের সৃষ্টি হয়। পরে আশপাশ থেকে আরো স্থানীয় লোকজন এসে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। ওই ছাত্রীর পরিবারের লোকজন সবুজের ভয়ে ও শুক্রবার বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় বিষয়টি ওই দিন কাউকে জানায়না। পরে শনিবার বিদ্যালয় খোলা হলে ওই ছাত্রীর মা বাবা প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বকসী ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল হালিমকে বিষয়টি জানায়। পরে মঙ্গলবার স্থানীয় তিনজন ইউপি সদস্য রহমান মেম্বার, আনোয়ার হোসেন মেম্বার, কাদের হোসেন মেম্বার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য মাতাব্বরদের উপস্থিতেতে সবুজ ও তার অভিবাবককে ডেকে এনে ওই বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে একটি সাধারণ শালিসে অপরাধী সবুজকে বেশ কয়েকটি জুতার বারি ও প্রায় ১০০ টি বেত্রাঘাত করে মিমাংশা করা হয়।
ওই ছাত্রী জানায়, সবুজ নামের ওই ছেলেটা তাকে রাস্তায় মাঝে মাঝেই বাজে কথা বলতো। ওই দিন তাকে জোর করে ওই বাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। ছাত্রী চিৎকার দিলে লোকজন আসে।
এ ব্যপারে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আ. হালিম বলেন, ঘটনাটি জানার পরপরই দুই পরিবারের লোকজন ও অন্যান্য গণ্যমান্য লোকের উপস্থিতিতে বিচার করে সমাধান করেছি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ ব্যপারে বলেন, ছেলে ও মেয়ে উভয় পক্ষের লোকজন আমাদের কাছে এসে সমাধান চায়। পরে স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে সবুজকে শারিরিক শাস্তির মাধ্যমে সমাধান করি।