Connect with us

কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে জোড় পুর্বক দিনমজুরের ঘর-বাড়ী ভেঙ্গে রাস্তা তৈরি করেছে প্রভাবশালীরা

Published

on

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :

কুড়িগ্রামের রাজারহাটের চাকির পশার ইউনিয়নের পাঠকপাড়া গ্রামের দিন মজুর বাদশা মিয়ার ঘর-বাড়ী ভেঙ্গে দিয়ে বসতভিটার উপর দিয়ে রাস্তা তৈরি করেছে ঐ এলাকার প্রভাবশালী ভুমি দস্যুরা। এসময় প্রতিবাদ করতে গেলে বাদশা মিয়াসহ তার পরিবারের লোকজনের উপর মারপিটসহ নির্যাতন চালিয়ে টাকা ও মালপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় অসহায় পরিবারটি থানায় অভিযোগ পত্র দাখিল করলেও তা আমলে নেয়নি রাজারহাট থানা পুলিশ।

এলাকাবাসী জানায়, গত ২১ জুন পাঠকপাড়া গ্রামের গেটো আলম, শাহাজাহান মিয়া ও শাহিনসহ ২০ থেকে ২৫ জন প্রভাবশালী ভুমি দস্যু জোড় পুর্বক বাদশা মিয়ার বাড়ীতে প্রবেশ করে ঘর-বাড়ী ভাংচুর করে রাস্তা তৈরি করে। এতে বাধা দিলে বাদশা মিয়াসহ তার পরিবারকে বেধম মারপিট করে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। বেশি বারাবারি করলেও প্রান নাশের হুমকীও দিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।

এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চেয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সমাজপতিদের নিকট ধরনা দিয়ে ঘুরেও কোন লাভ হয়নি বাদশা মিয়ার। প্রভাবশালীদের দাপটে কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি।

ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠবিচার চেয়ে রাজারহাট থানায় মামলা করতে গেলে এক সপ্তাহ যাবৎ ঘুরিয়ে এখন পর্যন্ত মামলা নেয়নি পুলিশ।

অবশেষে উপায়ান্ত না পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার, রাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ পত্র করেছে বাদশা মিয়া।

বাদশা মিয়া জানান, গেটো আলম ও তার লোকজন বাড়ীর পাশ দিয়ে সরকারী রাস্তা থাকার পরও বাড়ী-ঘর ভেঙ্গে দিয়ে বাড়ীর ভিতর দিয়ে রাস্তা তৈরি করছে। বাধা দিতে গেলে আমাকে মারপিট করে আমার বউকে ধরে নিয়ে যেতে নির্যাতন করে আবার ছেড়ে দিয়েছে। আমাকে প্রান নাশের হুমকী দিচ্ছে। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। চেয়ারম্যান বিচার করে না। থানায় এক সপ্তাহ থেকে ঘুরেও মামলা করতে পারিনি। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই। এ ব্যাপারে চাকিরপশার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জাহিদ সোহরয়ার্দি বাপ্পীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রশিদ মামলা না নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *