Connect with us

দেশজুড়ে

কুড়িগ্রামে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল নিয়ে ভোগান্তিতে কৃষক

Published

on

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রাম বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল নিয়ে ভোগান্তিতে সাড়ে ৭শ’ সেচ পাম্প মালিক। প্রতিটি সেচ পাম্প মালিককে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা। এ অবস্থায় বিনা কারণে এতো টাকা বেশি দিয়ে পুনরায় সংযোগ নিয়ে জমিতে সেচ দেয়া নিয়ে শঙ্কিত কৃষকরা।
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কৃষকরা ৭শ’ ৫০ জন পাম্পের মাধ্যমে জমিতে সেচ দিয়ে চাষাবাদ করে আসছিল। প্রতি আমন ও বোরো মৌসুম শেষে আবেদনের মাধ্যমে পাম্পের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়। আবার মৌসুমের শুরুতেই সংযোগ ফি দিয়ে সংযোগ চালু করতে হয়। কিন্তু বোরো মৌসুমের শুরুতেই সংযোগ নিতে গেলেই চমকে যায় পাম্প মালিকরা। প্রত্যেকের বিদ্যুৎ বিলে ২ হাজার থেকে ৪ হাজার ইউনিট পর্যন্ত বেশি দেখিয়ে বিদ্যুৎ বিলের কাগজ প্রদান করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পাম্প মালিকরা কুড়িগ্রাম বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে যোগাযোগ করে অতিরিক্ত ইউনিটের বিষয়টি জানতে চাইলে বিভিন্ন অজুহাতে বিল পরিশোধ করে সংযোগ নেয়ার কথা বলেন বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্টরা।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বাঘডোবারপাড় গ্রামের কৃষক আব্দুস ছালাম জানান, তার পাম্পের মিটার রিডিংয়ে ৬ হাজার ৭শ’ ৯২ ইউনিট থাকলেও তাকে বিল দেয়া হয়েছে ৮ হাজার ৮শ’ ইউনিটের। এতে করে তাকে আড়াই টাকা দরে ২ হাজার ৮ ইউনিটের বিল বেশি গুনতে হবে। কাগজ পাওয়ার পর বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করেও কোন কাজ হয় নি। প্রায় ৫ হাজার অতিরিক্ত টাকা পুনরায় সংযোগ নেয়া তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।
সদরের কৃষ্ণপুর কামারপাড়া গ্রামের সাইফুর রহমান জানান, তার মিটারে অতিরিক্ত প্রায় ৪ হাজার ইউনিট বেশি যোগ করে বিল দিয়েছে। এ অবস্থায় প্রায় ১০ হাজার টাকা অতিরিক্ত গুনতে হবে। যা তাদের মতো কৃষকদের পক্ষে সম্ভব না।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলামের কাছে অতিরিক্ত ইউনিট যোগ করে টাকা নেয়া বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান, সদর উপজেলায় সাড়ে ৭শ’ সেচ পাম্প দীর্ঘদিন ধরে এনালগ মিটারে চলায় প্রচুর সিস্টেম লস হয়েছে। এ সিস্টেম লস পূরণ করতে অতিরিক্তি ইউনিট যোগ করা হয়েছে। তাছাড়া টাকাতো সরকারের একাউন্টেই জমা হচ্ছে। তবে কারো আপত্তি থাকলে বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করতে পারে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *