দেশজুড়ে
কুড়িগ্রামে একই জমিতে বছরে ৩ বার ফসল আবাদ করছেন কৃষকরা
একই জমিতে বছরে তিনবার ধান ফলাচ্ছেন কুড়িগ্রামের কৃষকরা। এতে যেমন কৃষক লাভবান হচ্ছেন তেমনি দেশের খাদ্য ঘাটতি মেটাতে বড় ভূমিকা রাখছেন তারা। জেলার বিভিন্ন এলাকায় এখন চলছে বোরো হাইব্রিড ধান সাথি ও ব্রি-২৮ কর্তণ। অপরদিকে লাগানো হচ্ছে আউস মৌসুমের হাইব্রিড ধান সাথি। আউস ধান কর্তনের পর একই জমিতে লাগানো হবে আমন মৌসুমের ব্রি আর-২২।
চলতি বোরো মৌসুমে কৃষি বিভাগের উদ্যোগে ব্র্যাক কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচীর আওতায় জেলায় ২হাজার ৪শ’ ১১ জন কৃষক ১ হাজার ২শ’ ৩৯ একর জমিতে বছরে ৩বার ধান আবাদের অংশ হিসেবে হাইব্রিড ধান সাথি ও ব্রি-২৮ আবাদ করে ফলন ভাল পেয়েছেন। এতে সেচ সাশ্রয়ের জন্য এডাব্লু¬ডি, সার সাশ্রয়ের জন্য লাইন পদ্ধতি পোকা দমানোর জন্য পার্চিং পদ্ধতি অনুসরন করা হয়েছে।
উন্নত এ পদ্ধতি অনুসরন করতে কৃষি বিভাগ প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। এ ছাড়াও জমি তৈরী, বীজ রোপন, সার ক্রয়ের জন্য ব্র্যাকের পক্ষথেকে দেয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় সহায়তা।
জেলা সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের কৃষক আমজাদ হোসেন, ফজলুল হক জানান, এ পদ্ধতি অবলম্বন করে আমরা যেমন ফলন ভাল পাচ্ছি তেমনি একই জমিতে বছরে ৩ বার ধান ঘরে তুলতে পারছি।
ব্র্যাক কৃষি খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচী সিনিয়র রিজোনাল ম্যানেজার বাবুল নন্দন প্রামানিক জানান, আমরা খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষকদের ২ফসলী জমি ৩ ফসলী আর ৩ ফসলী জমি ৪ ফসলী জমিতে রুপান্তরের জন্য কাজ করছি। এসব জমিতে বছরে দুইবার ধান আবাদ করা হত এখন সেখানে বছরে ৩ বার ধান আবাদ হচ্ছে। এতে যেমন কৃষক লাভবান হচ্ছে তেমনি দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় তা ভূমিকা রাখছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপ পরিচালক মোঃ শওকত আলী সরকার বলেন, এ ধরনের উদ্দ্যেগ সর্বত্রই ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব হলে খাদ্যা ঘাটতি মেটাতে তা বড় ভূমিকা রাখবে।
কৃষকদের দাবী সরকারী-বেসরকারী সহাযতা পাওয়া গেলে এসব এলাকার সব জমিতেই বছরে ৩ বার ধান ফলানো সম্ভব।