Connect with us

কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামে বাফার গুদামের ধারণ ক্ষমতা কম হওয়ায় প্রায় ২ হাজার মেট্রিক টন সার খোলা আকাশের নিচে

Published

on

 

Bafa Goboun 28-03-2015 028
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: 
কুড়িগ্রামে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন এর গুদাম সংকটের কারনে ২হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বাফা কর্তৃপক্ষ খোলা আকাশের নিচে মাটিতে রাখা এসব সার ত্রিপাল দিয়ে ঢেকে রাখলেও এ সব সারের গুনগত মান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

কুড়িগ্রামে ২হাজার মেট্রিকটন ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি বাফার গোডাউন থাকলেও তাও অনেক পুরাতন। চলতি মৌসুমে সারের চাহিদা থাকায় কুড়িগ্রামে সার মজুদ রয়েছে ৬ হাজার মেট্রিকটন। এই বিপুল পরিমান মজুদ সার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বাফা কর্তৃপক্ষ। কুড়িগ্রামের বাফার গুদামের কুলি শরিফুল জানান, গুদামে জায়গা না থাকায় এসব সার বাইরে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।

কুড়িগ্রামের সার ব্যাবসায়ী দুলাল হোসেন বলেন, এসব ইউরিয়া সার গুদামের বাইরে দীর্ঘ সময় রাখার ফলে জমাট বেধে শক্ত হয়ে যায়। ফলে এসব জমাট বাধা সার কৃষকরা সহজে নিতে চান না।

২হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন এ গোডাউনে ঠাসা ঠাসি করে ৪হাজার মেট্রিকটন মজুদ করা হলেও বাকী সার খোলা আকাশের নিচে মাটিতে ত্রিপাল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ সার ডিলার এ্যাসসিয়েশন, কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, গোলাম মোস্তফা জানান, বর্ষা মৌসুম শুরু হয়েছে এ অবস্থায় এ বিপুল পরিমান সার জমাট বাধবে আর তা কৃষকরা নিতে চাইবে না। এ সব জমাট বাধা সার নিয়ে আমাদের বিপাকে পড়তে হবে। এতে করে ইউরিয়া সারের গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন দেখা দেয়। দীর্ঘ দিন ধরেই এ অবস্থা চলে আসছে। আমরা অতি সত্তর বাফার একটি নতুন গুদাম নির্মাণের দাবী জানাচ্ছি।

গোডাউন কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোন বক্তব্য দিতে রাজি না হলেও কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ শওকত আলী সরকার জানান, দীর্ঘদিন খোলা আকাশের নীচে থাকার ফলে এসব সারের গুনগত মান নষ্ট হয়ে যাবে। যার প্রভাব পড়বে কৃষি খাতে।

দ্রুত কুড়িগ্রামে এর একটি বাফার গোডাউন নির্মাণ ও সম্প্রসারন করা জরুরী বলে মনে করছেন সার ব্যাবসায়ী সহ কৃষি বিভাগ।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *