Connect with us

কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামে বিনা চিকিৎসায় ধুকেধুকে মারা যাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক

Published

on

Kurigram Freedom fighter photo 29.02.16নিজস্ব প্রতিবেদক, কুড়িগ্রাম: ১৯৭১ সালে এসএমজি হাতে রনাঙ্গনের অকুতো ভয় লড়াকু বীর মুক্তিযোদ্ধার আব্দুল মালেক আজ বিনা চিকিৎসায় জীবন মৃত্যর সন্ধিক্ষনে। আব্দুল মালেকের মুক্তিবার্তা নম্বর=০৩১৬০৬০২৭২। গেজেট নম্বর-২৩২৫। কল্যান ট্রাষ্ট নং ৩৯৪৮৭ এবং মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয় থেকে সাময়িক সনদ পত্র নং-৬৬৮৭১।
রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘মুক্তিযোদ্ধা জাতীর সম্পদ’ মর্যাদা দিলেও আব্দুল মালেকের খবর কেউ নিচ্ছে না। মুমুষ্য অবচেতন অবস্থায় বিছানায় পরে থাকলেও পরিবার থেকে তাকে ডাক্তার দেখাবার মত সামর্থ নেই।
সরেজমিন নাগেশ্বরী উপজেলার ৯নং ভিতরবন্দ ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেকের বাড়ীতে গিয়ে দেখা যায় তিনি অবচেতন অবস্থায় বিছানায় শুয়ে আছেন। তার স্ত্রী হামিজন বেগম জানান, ২০১২সালে তার স্বামী প্রথম ষ্টোক করে। ওই সময় তাকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে প্রাইম মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। ডাক্তার বলেছিলেন তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত তার দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসা দরকার। কিন্তু ১৫দিন চিকিৎসা করার পর টাকার অভাবে তাকে বাড়ীতে নিয়ে আসা হয়। পরে বাড়ীতে স্থানীয় ডাক্তার ও কবিরাজ দিয়ে চিকিৎসা চলছিল। গত ৮ফেব্রয়ারী তার আবার ষ্টোক করে। টাকার অভাবে এবার হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারি নাই। তিনদিন থেকে তার কথা বন্ধ। চিকিৎসা করার টাকা নাই। একটা স্যালাইন দিবো সেই টাকা জোগাড় করতে পারছি না। হামিজন বেগম কেঁদে কেঁদে বলেন, প্রতিমাসে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ৮ হাজার টাকা পাই। তাই দিয়ে অতি কষ্টে সংসার চালাই।
মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর মালেকের ২ছেলে ২মেয়্।ে বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। ছেলে শফিকুল ইসলাম বিএসএস পাশ করে বেকার। ইয়াসমীন আক্তার নবম শ্রেনীতে এবং ছোট ছেলে ইয়াছিন ইসলাম ৫ম শ্রেনীতে পরে। জমি জমা বলতে শুধু ৬শতাংশ ভিটাবাড়ী ছাড়া কিছু নেই। বড় ছেলে বিএসএস(ডিগ্রী)পাশ করে দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও কোথাও তার চাকুরী জোটেনি।
এ ব্যাপারে ভিতরবন্দ মুক্তযোদ্ধা ইউনিয়ন কমান্ডার নাজিমুদ্দিন বলেন, আমরা এক সঙ্গে ‘তিস্তামুখঘাট, ভরতখালী, নিলফামারী এলাকায় আব্দুল মালেকসহ জীবনবাজী রেখে মুখোমুখি যুদ্ধ করেছিলাম। আব্দুল মালেক খুব গরীব প্রথমবার ষ্টোকের সময় উপজেলা মুক্তযোদ্ধা কমান্ড থেকে এক হাজার টাকা সাহায্য করেছিলাম। এবারও উপজেলা কমান্ডকে জানিয়েছি দেখি কি করে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *