কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামে রাজাকারের নামে প্রতিষ্ঠিত কলেজকে জাতীয় করণের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন
শাহ্ আলম, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে মুক্তিযোদ্ধা প্রতিষ্ঠিত কলেজকে জাতীয়করনের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে রাজাকার প্রতিষ্ঠিত কলেজকে জাতীয় করনের ঘোষনা দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কুড়িগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সাবেক গণপরিষদ সদস্য মরহুম আব্দুল্ল্যা সোহরাওয়ার্দি প্রতিষ্ঠিত রাজারহাট মহিলা ডিগ্রী কলেজকে জাতীয় করনের ঘোষনার পর তা বাতিল করে রাজাকারের নামে প্রতিষ্ঠিত মীর ইসমাইল হোসেন ডিগ্রী কলেজকে নতুন করে জাতীয় করন ঘোষনার প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলন, মানব বন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা।
মঙ্গলবার দুপুরে কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ৩০ জুন ২০১৬ ইং তারিখে সারাদেশে ১৯৯টি কলেজ জাতীয় করনের ঘোষনায় রাজারহাট মহিলা ডিগ্রী কলেজে ১৪৭ নম্বর সিরিয়ালে অর্ন্তভুক্ত ছিল। কিন্তু ১৮ আগষ্ট ”দৈনিক শিক্ষা ডট কম এ” রাজারহাট মহিলা ডিগ্রী কলেজের পরিবর্তে রাজাকারের নামে মীর ইসমাইল হোসেন ডিগ্রী কলেজের নাম প্রকাশিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন মীর ইসমাইল হোসেন ছিলেন একজন প্রখ্যাত রাজাকার। ১৯৭১সালে তার নেতৃত্বে লালমনিরহাট থানার রাজারহাট, তিস্তা, ঘড়িয়ালডাঙ্গা, চাকিরপশার, ছিনাই এলাকায় অগ্নিসংযোগ লুটতারাজ এবং নিরীহ বাঙ্গালী ও মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয়। এ ছাড়াও ৭১এর ১৬ জুন তার নিদের্শে ও পরিকল্পনায় ঘড়িয়াল ডাঙ্গায় হিন্দু প্রধান সেন পাড়া গ্রামে আক্রমন পরিচালিত হয় লুটপাটকরা হয় হিন্দু বাড়ী। এ তথ্য মুক্তিযুদ্ধের আঞ্চলিক ইতিহাস বই সহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এলাকার সকলে তাকে একজন প্রখ্যাত রাজাকার হিসেবে চেনে। তাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার যখন ক্ষমতায় তখন এই প্রখ্যাত রাজকারের নামে প্রতিষ্ঠিত কলেজ জাতীয় করন হবে এটা মেনে নেয়া যায় না।
শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান মীর ইসমাইল হোসেনের প্রতিষ্ঠিত কলেজকে নতুন তালিকা থেকে বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মরহুম আব্দুল্ল্যাহ সোহরাওয়ার্দি প্রতিষ্ঠিত কলেজকে পুণরায় জাতীয় করনের তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করার দাবী জানান বক্তারা।
এসময় বক্তব্য রাখেন সাবেক গণপরিষদ সদস্য আব্দুল্ল্যাহ সোহরাওয়ার্দির পতœী সামসুন নাহার সোহরাওয়ার্দি, কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ, শিক্ষক নেতা আদম আলী সরকার, এরশাদুল নবী নবীন প্রমূখ।
পরে প্রেস ক্লাবের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানব বন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।