ঢাকা
গণঅভ্যুত্থানের অর্থই জানে না বিএনপি: নৌমন্ত্রী
নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের অর্থই জানে না বিএনপি। তাই, বেগম জিয়া মানুষ মারার আন্দোলনের পর ঘরে ফিরে গেছেন। এখন তার নেতারা বলছেন যে, গণঅভ্যুত্থান করে এ সরকারের পতন ঘটাবেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পূর্বে ঘাতকরা যখন জিয়াউর রহমানের কাছে গিয়ে বলেছেন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হবে। তখন জিয়াউর রহমান তাদের বলেছিলেন ‘গো এহেড’। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার পর রেডিও-টেলিভিশন ও পত্র-পত্রিকায় ঘাতকরা এ কথা বলায় প্রমাণ হয় বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন।
মন্ত্রী বৃহস্পতিবার মতিঝিলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) কার্যালয়ে বিআইডব্লিউটিসি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর ৪০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল পূর্ব এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু।
ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি মো. মহসিন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, জাতীয় শ্রমিক লীগের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাহাবুদ্দিন, বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগের সিবিএ সভাপতি মো. আলাউদ্দিন মিয়া, সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি কামালউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যসহ ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট নিহত শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। শাজাহান খান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছিলেন বাঙ্গালি ও সারা বিশ্বের নেতা। বঙ্গবন্ধু একটি জাতি উপহার দিয়েছিলেন। ঘাতকরা একজন মানুষকে হত্যা করেনি ওরা একটি আদর্শকে হত্যা করা চেষ্টা করেছে। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনর্বাসিত, বাংলাদেশ বেতারকে রেডিও বাংলাদেশ এবং জয়বাংলা বলার স্থানে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ করেছে। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা বিরোধী শাহ আজিজকে মন্ত্রী, তার নামে হল ও সবুর খানের নামে রাস্তা করেছিল।
নৌমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যারা করে তারা সব সময় মিথ্যার বেশাতি করেন। তারা মিথ্যা কথা বলার ট্রেনিং নিয়েছেন।তিনি বলেন, বিএনপি যখন আন্দোলনের কথা বলে, তখন আমরা শঙ্কিত হই। বিএনপি কোন আন্দোলন করবে। যে আন্দোলনে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করা হয়, আগুন লাগিয়ে গাড়ী পোড়ানো হয়। এটা গণতান্ত্রিক আন্দোলন কিনা, আমরা তা জানিনা। বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর
Continue Reading